কালবৈশাখীর দাপটে তাপমাত্রা কমলেও ক্ষতিগ্রস্থ দক্ষিন দিনাজপুরের বিস্তির্ণ এলাকা।
1 min read
আজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ৩০এপ্রিলঃ তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্থি। কালবৈশাখীর দাপটে তাপমাত্রা মনোরম হলেও ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দক্ষিন দিনাজপুরের বিস্তির্ন এলাকা। শুক্রবার রাতে ঘণ্টাখানেকের ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বালুরঘাট শহর। বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পরেছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপরে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ, ক্ষতিগ্রস্ত বেশকিছু বাড়ি। সন্ধ্যা ৮.৩০ নাগাদ শুরু হওয়া এই ঝড়ের বালুরঘাট শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পরিষেবা দিতে তৎপর পৌর প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দক্ষিন বঙ্গের মতন তীব্র দাবদাহের মধ্যেই দিন কাটছিল উত্তরবঙ্গের দক্ষিন দিনাজপুর জেলাবাসীর। শুক্রবার রাতে কালবৈশাখীর দাপটে অনেকটাই কমে যায় জেলার তাপমাত্রা। ঝড়ের দাপটে বালুরঘাটের বিভিন্ন এলাকায় ব্যপক ক্ষটি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রচুর কাঁচা বাড়ি। বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। গাছের ডাল ভেঙ্গে বাড়িঘর ভাঙার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। ফলে কাল রাত থেকেই বালুরঘাটের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বালুরঘাট শহরের হসপিটাল মোড় এলাকায় সৎকার সমিতির মন্দিরের পাশে শতাব্দী প্রাচীন একটি বট গাছ উপরে পড়ে 512 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়। খবর পেয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা তথা বালুরঘাট পৌরসভার পৌরপিতা অশোক মিত্র, বালুরঘাট পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ্তা চক্রবর্তী সহ জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হাত লাগান।
এমনকি জেলাশাসক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে উপরের পড়া গাছটি কাটিয়ে রাস্তা জাতীয় সড়ক পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করেন। এদিন সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলিতে ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছগুলি কেটে সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে বালুরঘাট পৌরসভার তরফে।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়েছে গোটা জেলাতে। বালুরঘাটের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলির ওপর নজর রাখছে বালুরঘাট পৌরসভার নবনির্বাচিত বোর্ড। পাশাপাশি জেলার বুনিয়াদপুরে শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছে। জেলা জুড়ে বৃষ্টি হওয়ায় প্রবল দাবদাহের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে বালুরঘাট ব্লকের কালাই বাড়ি, ডাংগি, চকভৃগু এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা শাসক আয়েশা রানি এ, জানান বালুরঘাট ব্লক ছাড়াও হিলি ও তপনের বেশ কিছু অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাজ পড়ে প্রায় 15 টা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এলাকাগুলিতে ত্রান পৌঁছে দিতে তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।