ছেঁড়া নোট থেকে খুচরো পয়সা ব্যাঙ্কে গেলেই মুশকিল আসান। সাধারণ মানুষের মনে এই ধারণা থাকলেও উল্টো চিত্রের দেখা মিলল বালুরঘাটে
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ২৯ ডিসেম্বরঃ ছেঁড়া নোট থেকে খুচরো পয়সা ব্যাঙ্কে গেলেই মুশকিল আসান। সাধারণ মানুষের মনে এই ধারণা থাকলেও উল্টো চিত্রের দেখা মিলল বালুরঘাটে। রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাঙ্কে খুচরো পয়সা জমা দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার বালুরঘাটের এক পেপার বিক্রেতা। তাঁর অভিযোগ, পরপর দুই দিন ব্যাঙ্কে ঘুরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। সরাসরি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ খুচরো পয়সা নিতে অস্বীকার করেন। যদিও দোষ চাপানো হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের উপর। ব্যাঙ্ক দাবী করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক পয়সা জমা নিলে তবেই খুচরো নেওয়া হবে। বালুরঘটের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পেপার বিক্রি করেন মাধব মৈত্র। তাঁর একটি অয়াকাউন্ট রয়েছে শহরের এলাহাবাদ ব্যাঙ্কে। পরপর দুইদিন সেখানে গিয়ে কাজ না করেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর অভিযোগ, ব্যবসায়িক সূত্রের ৪১ হাজার টাকা জমা করতে হতো তাঁকে।
৪০ হাজার নোট এবং এক হাজার টাকা খুচরো। কিন্তু সেই টাকাও নিতে অস্বীকার করে ব্যঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তাঁর দাবী, পেপার কিনে মানুষ খুচরো পয়সাই দিয়ে থাকে। ফলে অনেক খুচরো জমে গেছে তাঁর কাছে। সেই টাকাই জমা করতে এসেছিল। কিন্তু তার টাকা জমা নেওয়া হয়নি।
সূত্রের খবর, নোট বাতিলের পরে নগদের চাহিদা মেটাতে প্রচুর সংখ্যায় খুচরো মুদ্রা তৈরি করা হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে। যা ছিল প্রয়োজনের থেকেও বেশি। ফলে খুচরো নিতে চাইছেন না অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা। টাকা তোলার সময়ে গ্রাহকদের হাতে খুচরো ধরালেও তাঁদের থেকে নিতে রাজি নয় ব্যাঙ্ক। সব মিলিয়ে খুচরো নিয়ে সমস্যায় আমজনতা।