অত্যাধুনিক সোয়েল লেস কাল্টিভেশন বা মাটি ছাড়া চাষ
1 min read
আজকের বার্দতা – ক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অত্যাধুনিক সোয়েল লেস কাল্টিভেশন বা মাটি ছাড়া চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষক। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের বাসিন্দা মোমিন মিয়া, পেশায় শিক্ষক বিগত দু‘বছর ধরে সোয়েল লেস কাল্টিভেশন পদ্ধতিতে চাষ করেছেন এবং সফল হয়েছেন। যার বৈজ্ঞানিক নাম হাইড্রোপনিক সিস্টেম। এখানে প্লাস্টিকের পাইপ এর মধ্যে বিশেষ পদ্ধতিতে পাথরের কুচির সাথে গাছ লাগানো হয়। কোন রকম মাটি ছাড়াই এখানে ফসল ফলে।
প্রাথমিকভাবে ইউটিউব থেকে দেখে শেখা হাইড্রোপনিক পদ্ধতি পড়ে গত বছর তিনি বাস্তবায়ন করে সফল হয়েছেন। বাড়ির সাথে লাগোয়া ছোট্ট চার শতক জমিতে তিনি এই পদ্ধতিতে চাষ করেছেন। যেখান থেকে প্রায় তিন বিঘা জমির সমান ফসল উৎপাদন হবে বলে দাবি তার। স্ট্রবেরী, লেটুস, ব্রকলি, টমেটো এবং ফুলকপি চাষ করেছেন শিক্ষক। সৌর বিদ্যুৎ চালিত মোটরের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা জল দেওয়া হচ্ছে ঝরনার সাহায্যে। জলের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মিশে যাচ্ছে লিকুইড সার ও গাছের প্রয়োজন মতো অত্যধিক সেনসিটিভ সেন্সরের সাহায্যে সার দিচ্ছে। মেশিন নিজেই প্রয়োজনে সারের মাত্রাও কমিয়ে নিচ্ছে স্বয়ংক্রিয় মেশিন। প্রত্যন্ত তপনের মত গ্রামে বসে স্ট্রবেরির বাজার কোথায় পাওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তিত নন এই শিক্ষক। কারণ গত বছর ব্যাপক লাভ হয়েছিল স্ট্রবেরি চাষ করে। এবার ফসল লাগানোর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ফুল আসতে শুরু করেছে এবং শিক্ষকের দাবি যে যথাসময়ে ফসল উঠবে এবং এবারও ব্যাপক লাভের মুখ দেখবেন তিনি।
স্কুলের শিক্ষকতার পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি এই গবেষণামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রীন হাউস এফেক্ট পদ্ধতির কেউ কাজে লাগানো হয়েছে এই চাষে। সম্পূর্ণ প্রকৃতিবান্ধব উপায়ে এই চাষ পদ্ধতি আগামী দিনে কৃষকদের প্রভূত উন্নতি করবে, এমনটাই দাবি শিক্ষক মোমিন মিয়ার।
প্রত্যন্ত গ্রামে বসে এই অত্যাধুনিক় চাষে সাফল্য লাভ করার পর শিক্ষকের দাবি প্রয়োজন পড়লে তিনি এই চাষ পদ্ধতি আরো দশ জনকে শিখিয়ে দিতে পারেন যদি সরকারি সে রকম সাহায্য পাওয়া যায়।