রেল লাইন সম্প্রসারণে গৃহহীন হতে চলেছে প্রায় পঁচিশ টি পরিবার। দলিল বা পাট্টা না থাকায় পুনর্বাসনের দাবী এলাকাবাসীর।
1 min readআজকেরবার্তা, দক্ষিণ দিনাজপুর, ২৬ মে: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বালুরঘাট – হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণে গৃহহীন হতে চলেছে ডুমইর এলাকার একটি কলোনির প্রায় পঁচিশ টি পরিবার। জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায়, পাচ্ছেন না জমির মূল্য বা ক্ষতিপূরণ। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবী এলাকাবাসীর।
প্রসঙ্গত দীর্ঘবছর ধরেই চলছে বালুরঘাট -হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণ এর কাজ। বছর কয়েক আগে জমি চিহ্নিত করে শুরু হয়েছিল কাজ। বালুরঘাটের আত্রেয়ী ও হিলির যমুনা নদীর উপর সেতু তৈরীর কাজও শুরু হয়। এরপর জমি জটের কারনে কয়েক বছর বন্ধ ছিল কাজ। বাজেটে এই প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ করায় এবং জমিজট কেটে যাওয়ায় পুনরায় শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। বালুরঘাট ব্লকের দৌল্লা এলাকার অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুমইর গ্রামের চক আমোদ কলোনির প্রায় ২৫ টি বাড়ি এবং দৌল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তাবিত রেললাইনের মধ্যে পড়েছে। ইতিমধ্যেই চিহ্নিতকরণের খুঁটি বসানো হয়েছে। রেলের জমির জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে।
কিন্তু ওই কলোনির বাসিন্দাদের কোন জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায়, তারা জমির মূল্য পাবেন না। গ্রামবাসীদের দাবি গরিব মানুষ দের বাড়িঘর চলে গেলে তারা কোথায় থাকবেন। স্বাভাবিকভাবেই গৌরী বর্মন, শুভ বর্মন সহ গ্রামবাসীরা পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হয়েছেন।
অমৃত খন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অনুপ সরকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীরা এই এলাকায় রয়েছে আজ অব্দি তাদের পাট্টা দেওয়ার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি রেল লাইন সম্প্রসারনের চিহ্নিত করন জমিতে একটি প্রাইমারী স্কুল পরেছে, স্কুলটি সরিয়ে এলাকার মধ্যেই করা হোক।
একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে ওই এলাকার মানুষদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি জেলা সম্পাদক বাপি সরকার।
পাশাপাশি বামফ্রন্টের তরফে আরএসপি রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী একই দাবি অর্থাৎ প্রশাসনের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত বলে জানিয়েছেন।
তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, এই বিষয়ে দলীয়ভাবে এবং প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করা হবে। যদি সম্ভব হয়, প্রস্তাবিত রেলপথ একটু ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে হবে অথবা যাতে তারা পুনর্বাসন পায় সে বিষয়ে জেলাশাসকের সাথে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।