ভোট বয়কট করল তপন বিধানসভা এলাকার ছোট দেওরা গ্রামের বাসিন্দারা। দাবি ” সেতু ও রাস্তা দাও – ভোট নাও”
1 min read
- আজকের বার্তা, বালুরঘাট, ২৬ এপ্রিল ঃঃ -বালুরঘাট ব্লকের ৪০নং তপন বিধানসভার অন্তর্গত ছোট দেওরা গ্রামের বাসিন্দারা পাকা রাস্তা এবং কাশিয়াডাঙ্গা খাড়ির উপরে সেতুর দাবি চেয়ে ভোট বয়কট করে বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই তারা ভোট বয়কট এর ডাক দিয়ে। ২১৪ নং বুথের ছোটদেও গ্রামের বাসিন্দারা ভোট বয়কট করে 100 টি পরিবারের প্রায় 400 জন ভোটার রয়েছে এই গ্রামে। দাবি পাকা রাস্তা এবং স্থায়ী সেতুর। খরার সময় কোন ভাবে যাতায়াত করা সম্ভব হলেও বর্ষাকালে চরম বিপাকে পড়তে হয় গ্রামবাসীদের বলে দাবি তাদের। গ্রামের মধ্যে নেই কোন পাকা রাস্তা বর্ষার সময় খাড়ির জলে ভরে যায় গ্রাম। গ্রামবাসীরা অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথথাকেনা। ছোট বাচ্চাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে পড়ে, স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় বন্যায় ডুবে এক শেষ হয়ে পড়ে। 40 নম্বর তপন বিধানসভার ছোট দেওড়া গ্রামের বাসিন্দারা ভোট বয়কট এর ডাক দিয়েছে। গ্রামের দু’পাশের রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ বা কাহারা ভোট দিতে না যেতে পারে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে গ্রামের বাসিন্দাদের তার গ্রামের স্বার্থে তাদের এই সিদ্ধান্ত।
বালুরঘাট শহর সংলগ্ন গ্রাম ছোটদেওড়া গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাশিয়াখাড়ির শাখা নদী। গ্রামের একদিকে কাশিয়াডাংগা গ্রাম আর আরেক দিকে রয়েছে দোগাছি ফরেস্ট ও বালুরঘাট শহরের সাথে দ্রুত যোগাযোগকারি পাকা রাস্তা। গ্রামবাসিদের অভিযোগ তাদের শহরে যেতে গেলে গ্রামের খানা খন্দে ভরা মাটির আলের রাস্তা ধরে ২ কি মি ঘুরে কাশিয়াডাংগা হয়ে তারপর বড় রাস্তা ধরতে হয়। আর যদি দোগাছী ফরেস্টের ভেতর দিয়ে দোগাছি মোড়ে উঠে পাকা রাস্তা ধরি তাহলে অতি অল্প সময়েই বালুরঘাট শহরে পৌছে যাওয়া যায়। এমনিতে খরা’র সময় এই শাখা নদীতে জল না থাকায় বাশের মাচা বানিয়ে তার উপর দিয়ে হেটে বা সাইকেলে অরন্যের মধ্যে দিয়ে হেটে গিয়ে পাকা রাস্তা ধরে অনায়াসেই খুব দ্রুত শহরে চলে যাওয়া যায়। কিন্তু বর্ষায় এই শাখা নদী যখন ফুলে ফেপে ওঠে তখন এই শর্টকাট রাস্তা পার করাই গ্রামবাসিদের দায় হয়ে পরে।অবার কাশিয়াডাংগা ঘুরে ২ কিমি মত মাটির এবড়ো থেবড়ো কাচা রাস্তা ধরে শহরে যাওয়ার জন্য তপন – বালুরঘাট রাজ্য সড়ক ধরলে এক হাটু কাদায় ভরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
বাম আমলের 34 বছর এবং তৃণমূলের দশ বছরে শুধু মিলেছে প্রতিশ্রুতি, কাজের কাজ কিছু হয়নি। সেই কারণে ছোট দেওরা গ্রামের প্রায় ৪০০ ভোটারদের ভোট বয়কট করছে।