ক্রেতা সেজে হানা দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের আগে লক্ষাধিক টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট ও ব্যাথার টাইডাল ট্যাবলেট উদ্ধার করলো বালুরঘাট থানার পুলিশ।
1 min read
আজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ২৪জুনঃ ক্রেতা সেজে হানা দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের আগে লক্ষাধিক টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট ও ব্যাথার টাইডাল ট্যাবলেট উদ্ধার করলো বালুরঘাট থানার পুলিশ। ঘটনায় গ্রেপ্তার 6 জন যুবক। সীমান্তে পাচারের আগে বড়োসড়ো সাফল্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানা পুলিশের। বালুরঘাট শহর কলকলা খাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে ছয়জন সন্দেহভাজক যুবকসহ এই ট্যাবলেট গুলি উদ্ধার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
গোপন সূত্র খবরের জেরে সীমান্তে পাচারের আগে 8 হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও ব্যথার টাইটেল ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান কলকলাখাড়ি হয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই ট্যাবলেট গুলিকে পাচারের লক্ষ্যে।
বৃহস্পতিবার রাতে ক্রেতা সেজে সন্দেহ ভাজক ওই 6 যুবকের কাছে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। সুযোগ বুঝে মাদকদ্রব্যসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্য আনুমানিক বাজার মূল্য 10 লক্ষ টাকা। রাতেই পাচারকারীদের নিয়ে আসা হয় বালুরঘাট থানায়। ধৃত পাচারকারী যুবকদের নাম অসীম ঘোষ(৩২), আইয়ুবুদ্দিন মন্ডল(৩২), আতার মন্ডল(২৮),বিপ্লব মহন্ত(৩৫), নির্মল দাস(২৯) ও নূর হোসেন মন্ডল(৩২)। অসীমের বাড়ি হিলির তিওর এলাকায়, আইয়ুবুদ্দিনের হিলির ডাবড়া এলাকায়, আতারে বাড়ি হিলির জামালপুর এলাকায়, বিপ্লবের বাড়ি হিলির ত্রিমোহনী এলাকায়, নির্মলের বালুরঘাটে বড়কাশীপুর এলাকায়, নূরের বাড়ি হিলির ফতেপুর এলাকায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অন্য কোথাও থেকে আমদানির পর বালুরঘাট শহর হয়ে মাদক দ্রব্য গুলি সীমান্তে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতদের শুক্রবার পুলিশ রিমান্ডে আবেদন জানিয়ে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়।
ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের চক্রে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। সমস্ত বিষয় সংক্রান্ত একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আরক্ষাধিক্ষক রাহুল দে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহঃ নাসিম, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ, বালুরঘাট থানার আইসি শান্তি নাথ পাঁজা সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে ক্রেতা সেজে হানা দিয়ে বালুরঘাট ব্লকের কলকলা খারি এলাকা থেকে 6 জন মাদক পাচারকারী সহ 10 লক্ষ টাকার ঊর্ধে ইয়াবা ট্যাবলেট ও অন্যান্য মাদক জাতীয় ট্যাবলেট উদ্ধার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। ঘটনায় আটক করা হয় 6 জন পাচারকারীকে। পরবর্তীতে শুক্রবার জেলা আদালতে পেশ করা হয় ধৃতদের এবং পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
জেলায় মাদকদ্রব্য পাচারের সংখ্যা দিন প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারণে পাচারের মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার যুব সমাজের আসক্ত হয়ে পড়ছে নেশায় মাদকদ্রব্য সেবন থেকে পাচার সমস্ত কাজেই। মাদক পাচার কারবারে একের পর এক উঠে আসছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নাম। কর্মসংস্থানের অভাব নাকি অন্য কোনো কারণ কি রয়েছে প্রতিনিয়ত মাদক পাচারের পিছনে এই নিয়ে জেলার বিভিন্ন মহলে উঠছে নানান প্রশ্ন। যদিও দিনাজপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক ক্যাম্পের আয়োজন করা হয় সীমান্তে পাচার বন্ধ ও নেশা মুক্তির লক্ষ্যে।