পথশ্রী প্রকলপে শুরু হওয়া রাস্তা নির্মানের কাজে কুর্নী হাতে নিজেই নেমে পড়লেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ২৩ এপ্রিল: এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা পুরনে পথশ্রী প্রকলপে শুরু হওয়া রাস্তা নির্মানের কাজে কুর্নী হাতে নিজেই নেমে পড়লেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট ব্লকের ৫ নং ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নকশা সংসদের আমতলী খালিয়াপাড়া অঞ্চলে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যের গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু কঅরার জন্য কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী এই পথশ্রী প্রকল্পের শুভ সূচনা করেন। এরপরেই এপ্রিলেই কাজ করা শুরু এই পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পে। ৫ নং ভাটপাড়া অঞ্চলের খালিয়াপাড়া এলাকার ডিপটিকল মোড় থেকে সুহেন পাহানের বাড়ি পর্যন্ত ১কিমি ২০০ মিটার কংনক্রিটের ঢালাই রাস্তা নির্মানের এই প্রকল্পে তৈরির শুভ সুচনা হল আজ থেকে। দীর্ঘ দিনের দাবি পুরন করে পঞ্চায়েত এই নির্মান কাজ শুরু করায় খুশির হাওয়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। এরপাশাপাশি তারা আরো খুশি রাস্তা নির্মান কাজ যথাযথ ভাবে ঠিকাদার সংস্থা করছে কি না তা দেখভালের পাশাপাশি খোদ এলাকার প্রধান নিজেই কুর্নি হাতে লেবারদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে রাস্তা নির্মানের কাজে নেমে পড়ায়।যদিও প্রধান মুকুল মুর্মু নিজেই এই এলাকার বাসিন্দা তাই তার এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের রাস্তার দাবি পুরন করতে পেরে খুশি তিনি বলে জানান মুকুল মুর্মু।পাশাপাশি তার দাবি তিনি নিজেও দিন মজুরের কাজ করে থাকেন নানান জায়গায়।তাই নিজে রাস্তা নির্মানের কাজ ও দেখভাল তার কাছে কোন ব্যাপার নয় বলে মুকুল মুর্মু জানান।
এলাকার মহিলা বাসিন্দারা জানান তাদের এলাকায় বিয়ে হয়ে আসা প্রায় বিশ বছর হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কোন পঞ্চায়েতের তরফে তাদের এলাকার রাস্তা পাকা করার দাবি পুরন করেনি। অথচ খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়েই এতদিন আমাদের চলাচল করতে হতো।এমনকি গ্রামের গর্ভবতি মহিলাদের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন এম্ব্যুলেন্স ঢুকতে চাইতো না। এতদিন পর রাস্তা নির্মান হওয়ায় এবার টোটো করে বাড়িতে চলে যেতে পারব এই নিয়েই আমরা ভীষন খুশি।
গ্রামীণ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত এবং আধুনিক করার জন্যই রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিলে এই পথশ্রী প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে । আরও জানা গিয়েছে, ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শ্রমিক-কৃষক সকলের সহজ যাতায়াতের জন্য এই গ্রামীণ রাস্তার উন্নত করার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন সরকারি অফিস, স্কুল, বাজার, হাসপাতাল, সুসাস্থ্য কেন্দ্র, আইসিডিএস সেন্টারগুলিতে যাতায়াত উন্নত হবে। এর ফলে গ্রামীণ বাংলার সড়ক যোগাযোগ এবং সার্বিক উন্নতি হবে। এই রাস্তা সেই উন্নয়নের একটি বড় ধাপ। বলে পঞ্চায়েত সুত্রে জানা গেছে।