আরণ্যক” পার্ক অসামাজিক ও অশ্লীল কাজকর্মের লীলাক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। পার্কের আনাচে কানাচে ঘটা বেশ কিছু প্রকাশিত ভিডিও নিয়ে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে নজরদারীর অভাবের আভিযোগ উঠেছে।
1 min read
আজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ২২এপ্রিল: তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির “আরণ্যক” পার্ক অসামাজিক ও অশ্লীল কাজকর্মের লীলাক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। পার্কের আনাচে কানাচে ঘটা বেশ কিছু প্রকাশিত ভিডিও নিয়ে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে নজরদারীর অভাবের আভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল, পার্কে ঘটে চলা অশ্লীল ভিডিও নিয়ে সরব হয়েছেন। এমনকি, পার্কে ঘুরতে আসা প্রেমিক যুগলদের কাছ থেকে টাকা তোলার মাধ্যমে এইসব ঘটনায় মদত দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের সদর শহর বালুরঘাট শহরের উপকণ্ঠে মঙ্গলপুর এলাকায় ‘আরণ্যক’ পার্কটি বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। জয় রাইড হিসেবে পার্কের মধ্যবর্তী পুকুরে বোটের ব্যবস্থা এবং শিশুদের জন্য টয় ট্রেন করা হয়। বর্তমানে অবশ্য দুটিই অচল অবস্থায় রয়েছে। রয়েছে টিকিটের ব্যবস্থা। সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকে। দেখভালের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির তিনজন কর্মী রয়েছেন পার্কে। কিন্তু শহরের বাইরে হওয়ায় ধীরে ধীরে কমেছে শিশুদের যাওয়া আসা, পাশাপাশি বেড়েছে যুবক যুবতীদের ভিড়। দুপুরের দিকে ফাকা থাকায় চলছে অসামাজিক ও অশ্লীল কাজকর্ম। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ হয়ে যাওয়ায়, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে। বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে পার্কে নজরদারির অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদল বিজেপি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অসামাজিক কাজকর্মে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মলয় মন্ডল জানান, বালুরঘাটের গর্ব আরণ্যক পার্ক। তবে বেশ কিছুদিন ধরে অসামাজিক কাজকর্মের খবর পাচ্ছি। এবিষয়ে পার্কের পরিবেশ রক্ষায় বিডিও কে সিকিউরিটি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।
বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদার জানান, পার্কে কর্মী ও সিকিউরিটি বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে সিকিউরিটির জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে বালুরঘাট বিডিও এবং বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক বাপী সরকার জানান, তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি ও বালুরঘাটের বিডিও এর তত্বাবধানে চলা পার্কে নজরদারির অভাবে অশ্লীল ও আপত্তিকর কাজকর্ম চলছে বলে জানতে পেরেছি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময়ে এইসব কাজ চলছে বলে মনে করি। কারা টাকা তুলছে, প্রশাসনের তা দেখা উচিত।
তবে, সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি সকলেই চায়, নজরদারী বাড়িয়ে দ্রুত আরণ্যক পার্কের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।