নাম না করেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে গুন্ডা বলে কটাক্ষ তৃণমূল সুপ্রিমোর
1 min read
নাম না করেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে গুন্ডা বলে কটাক্ষ তৃণমূল সুপ্রিমোর। বাংলা-বাংলাকে চালাবে দিল্লি চালাবে না। তাই বাংলাকে জয় করতে হলে তৃণমূল কংগ্রেস কে নির্বাচনে জয়ী করার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার তপনের বাঘইটে নির্বাচনী সভা করতে আসে এমনটাই মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তপন বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী কল্পনাকে কিস্কুর সমর্থনে জনসভা করেন মমতা। যদিও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না প্রার্থী কল্পনা কিস্কু।
বেশ কয়েকদিন আগে করোনাই আক্রান্ত হয় তপন বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্পনা কিস্কু। তাই আবারও পরীক্ষা করানো পর্যন্ত তিনি জনগণের কাছে আসতে চান না তিনি। সেই জন্যেই এদিন মমতা ব্যানার্জি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রার্থী নিজেই। তবে শুধুমাত্র তপন বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেক প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেন মমতা ব্যানার্জি। এদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দাস, জেলা তৃণমুল প্রেসিডেন্ট বিপ্লব মিত্র, রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, শংকর চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। সভার মময়দানে পাসে হেলিকপ্টার করে এসে সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নির্বাচনী সভা কে ঘিরে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
জনসভার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলা যেন বাংলায় থাকে দেখবেন? বাংলা যেন গুজরাত দখল করতে না পারে। দিল্লির হাতে যেন বাংলা না যায়, দিল্লির হাতে বাংলা আমরা ছেড়ে দেবোনা। দিল্লির দুই গুন্ডার হাতে বাংলা যাবে না, বাংলা যাবে না,বাংলা যাবে না। এছাড়াও মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন পোলিও ভ্যাকসিন, কালাজ্বরের ভ্যাকসিন, ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন আমার দিই তখন তো সমস্যা হয়না। তোমরা ভ্যাকসিন লুকিয়ে রেখেছিলে আমাদের কিনতে দাওনি। আমাদের বলা হয়েছিল কোন স্টেষ্ট কিনতে পারবেন। এই কোভিডটা নরেন্দ্র মোদীর। তাই এত মানুষ মারা যাচ্ছে। আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর প্রচারে এসে জনসভায় এসে এই ভাবে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া তিনি আরো বলেন তপন দিঘি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই ৩৬কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৩৭কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। সংস্কারের পর তপন দিঘি কে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তার ফলে অনেক বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান হবে। মৎসজিবীরা মৎস চাষ করে উর্পাজন করতে পারবেন। তপনের প্রাণকেন্দ্র তপন দিঘি। এছাড়া বিভিন্ন রকম উন্নয়ন কে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের কাছে ভোটের জন্য আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।