ভোরের আলোর পাশে দাঁড়িয়ে হাতির পাল। হাতি দেখতে ভিড় পর্যটক থেকে সাধারনের
1 min read
আজকেরবার্তা,শিলিগুড়ি, ২১এপ্রিলঃ তিস্তা পেড়িয়ে ভোরের আলোর পাশে হাজির একপাল হাতি। বুধবার রাতেই নিপানিয়া জঙ্গল এলাকা থেকে হাতি চলে আসে গজলডোবার ভোরের আলোর পাশে বারো নম্বর সেকশনে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত হাতিগুলি ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে একই জায়গায়। হাতিগুলি যাতে আশাপাশের গ্রামে ঢুকতে না পারে তার জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বনকর্মীরা। হাতি দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর মানুষ।
মাঝেমধ্যেই তিস্তা নদী পেড়িয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে হাতির আগমন ঘটে গজলডোবায়। কোন কোন সময় হাতি ঢুকে যায় পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষনীয় ভোরের আলোতে। তবে হাতি গুলো রাতের অন্ধকারে গজলডোবায় এলেও ভোরের আলো ফুটতেই সদলবলে ফিরে যায় জঙ্গলে। একই পথে বুধবার রাতে ৩০-৩৫ টি হাতি চলে আসে গজলডোবার ভোরের আলোর পাশে বারো নম্বর সেকশনে। খবর পৌছায় বনদফতরের কাছে। রাতেই ঘটনাস্থলে চলে আসে বনদফতরের এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের কর্মীরা। বনদফতরের কর্মীরা অনুমান করেছিল ভোরের আলো ফোটার আগেই জঙ্গলে ফিরে যাবে। কিন্তু বেলা গড়িয়ে গেলেও হাতিগুলো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একই জায়গায়। ফলে অস্বস্থি বাড়ছে বনদফতরের। যেখানে হাতিগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখান থেকে খুব একটা বেশি দূর নয় ঘন জনবসতিপূর্ণ গ্রাম। জমিতে ফসল রয়েছে যথেষ্ট। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা হাতগুলোকে জঙ্গলে না ফেরালে সন্ধ্যা নামলে খাবারের লোভে ঢুকে যেতে পারে গ্রামে। যাতে এই হাতির পাল যাতে কোনভাবেই লোকালয়ে হানা দিতে না পারে তার জন্য নজরদারি চালাচ্ছে বনকর্মীরা। তবে হাতগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে উদ্যোগ নেয়নি বনদফতর। তাদের অনুমান দিনের আলো রয়েছে বলেই হাতিগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে, অন্ধকার নামলেই ফিরে যাবে হাতিরপাল।
এদিকে গজলডোবায় হাতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাতি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর মানুষ। অনেকেই মোবাইলে ক্যামেরাবন্দী করছেন তিস্তাপারে হাতি দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য। ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর পর্যটক।