প্রাণের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে বিজেপি পার্টি অফিসে আশ্রয় নিতে হচ্ছে প্রার্থীদের বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থীদের। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
1 min readআজকেরবার্তা, দক্ষিন দিনাজপুর, ২০ জুন: প্রাণের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে বিজেপি পার্টি অফিসে আশ্রয় নিতে হচ্ছে প্রার্থীদের বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থীদের। মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করার সময়সীমা উত্তীর্ণ হলেই তারা ফিরে যাবে নিজেদের বাড়িতে বলে জানায় বিজেপি প্রার্থীরা। শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ তোলে বিজেপি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেস।
মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় তাদের উপরে চাপ সৃষ্টি করছিল একদল দুষ্কৃতি বলে অভিযোগ বিজেপির প্রার্থীদের। সন্ত্রাসের ভয়ে গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি ৪ জন প্রার্থী আশ্রয় নেয় দক্ষিন দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে বলে দাবি করেন তারা।
অতীতের নির্বাচনে রক্তপাত, গুলি চালানো থেকে বোমাবাজি, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বলে অভিযোগ বিজেপির। গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর পঞ্চায়েতের নাম শুনলেই সাধারণ মানুষের মনে ভেসে ওঠে এমন সব আতঙ্কের কথা। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন কে কেন্দ্র করেও শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সারানোর অভিযোগ তোলে বিজেপি।
বিজেপির অভিযোগ, বিগত নির্বাচনের পর আবার আবারো পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের দুষ্কৃতিদের সন্ত্রাসে ঘর ছাড়া হয়েছে বিজেপি প্রার্থীরা বলে অভিযোগ। অপহরণের আতঙ্কে এদিন গঙ্গারামপুর ছেড়ে বালুরঘাটে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে আশ্রয় নিলেন চার প্রার্থী বলে জানান বিজেপি কার্যকরতারা।
বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তাই মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পরেই নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাবেন বিজেপি প্রার্থীরা বলে জানান তারা। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরলেন আতঙ্কের কথাও।
নন্দনপুর পঞ্চায়েতের ২৫টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি দল। যাদের মধ্যে একজনের প্রার্থীপদ জোর করে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। মনোনয়ন প্রত্যাখ্যানের আতঙ্কে নন্দনপুর ৫নং সংসদের সুবল চন্দ্র মন্ডল, ২নং করিয়াল সংসদের রামপ্রসাদ সরকার, ৪নং নন্দনপুর সংসদের বাসন্তী কিস্কু এবং করিয়াল ১নং সংসদের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্তী সরকাররা বালুরঘাটে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানায় বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি প্রার্থী বাসন্তী কিস্কু জানিয়েছেন, ২০১২ সাল থেকে এলাকায় ভোট দিতে পারেননি। এবারে ভোটে দাঁড়িয়েছেন কিন্তু তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। অপহরণের আতঙ্কে তারা চারজন প্রার্থী বিজেপি কার্যালয় আশ্রয় নিয়েছেন।
অপরদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি মিথ্যে কুৎসা রটাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মন গরম কাহানি গড়ে তুলে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তৃণমূল কোনভাবেই সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত নয়। বিজেপির অন্দরমহলেই একাধিক দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে দাবি করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।