দন্ডি কান্ডে পুলিশের জাতীয় মহিলা কমিশনকে পাঠানো রিপোর্ট নিয়ে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার।
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ২০ এপ্রিল: বালুরঘাটে দন্ডি কান্ডে জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনকে পাঠানো রিপোর্ট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আজ এক ভিডিও বার্তায় সুকান্ত বাবু জাতীয় মহিলা কমিশনকে জেলা পুলিশ সুপারের পাঠানো রিপোর্ট কে হাতিয়ার করে বলেন, জেলা পুলিশের পাঠানো এই রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে জেলায় এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। দন্ডি কান্ডে পুলিশের এই রিপোর্ট নিয়ে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, তপনের গোফানগর এলাকায় দুইশো আদিবাসী মহিলা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এরপরের দিন বালুরঘাটের রাস্তায় আদিবাসী তিন মহিলাকে দন্ডি কাটিয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। ওই তিন মহিলার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৎকালীন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। ঘটনায় সরব হয় রাজনৈতিক মহল থেকে আদিবাসী সমাজ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে রাজ্য রাজনীতি। অবশেষে আদিবাসী তিন মহিলাকে দন্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস ও আনন্দ রায়। তাঁদের বিরুদ্ধে ধারা ৫০৫ / ৫০৯ ও এসসি এসটি এক্ট এ মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপর শর্তসাপেক্ষে ধৃত দুজনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। যদিও ওই মহিলা তিনজনকে যিনি দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন সেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এখনও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। অথচ দণ্ডীকাণ্ডের ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মহিলা কমিশনের কাছে ইতিমধ্যে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে ডিএসপি পদমর্যতার পুলিশ আধিকারিক এই ঘটনার তদন্ত করেছে এবং দুইজন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই কান্ডে জেলার যে তৃনমুল নেত্রীকে সংবাদ মধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে শুনেছি। এ ব্যাপারে ওই তিন আদিবাসি মহিলা বিজেপিতে যাওয়ার জন্য দন্ডি কেটে প্রায়শ্চিত্ত করছে বলতে শুনেছি সেই নেত্রীর মুখে। সে বিষয়ে বা তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করার ব্যাপারে কিছু রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় নি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশ দোষীদের আড়াল করবার চেষ্টা করছে।
এরপরেই এই ভিডিও বার্তায় ক্ষুদ্ধ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, যে ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া মানেই কোন অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল। অর্থাৎ অপরাধ যে হয়েছিল তা প্রমাণিত। তার অভিযোগ রিপোর্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে পুলিশ দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই ঘটনায় তারা চান নিরেপেক্ষ তদন্ত হোক। তার অভিযোগ পুলিশ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল মহিলা নেত্রীকে আড়াল করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় এসটি কমিশনের টিম এসে সরোজমিনে তদন্ত করুক বলে দাবি জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একমাত্র তাহলেই এই ঘটনা সামনে আসবে এবং তদন্ত সঠিক পথে এগোবে বলে তিনি দাবি করেন।