বন্যা দুর্গতদের খাবারের ব্যবস্থা করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও রাজনৈতিক দল।
1 min readআজকের বার্তা, বালুরঘাট ঃ- জেলায় বিগত ৪৮ ঘন্টা ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নতুন করে আর কোন এলাকা প্লাবিত হয়নি। তবে জেলার তিন নদী টাঙ্গন পুনর্ভবা ও আত্রেয়ী কোন নদীর জলওস্তর সেভাবে নামেনি। এখনো দুর্ভোগে বেলাইন ও ডাকরা গ্রামের মানুষ। এলাকায় জল ঢোকায় গ্রামের সঙ্গে বালুরঘাটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কলার ভেলা অথবা হেঁটে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ।অন্ততপক্ষে ৭০ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় স্কুল ও রেল স্টেশনে। বন্যা দুর্গতদের খাবারের ব্যবস্থা করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও রাজনৈতিক দল। প্রশাসনিক সাহায্য সেভাবে গ্রামে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
জানাগেছে, দিন কয়েকের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ের নেমে আসা জলে ফুলে ওঠে জেলার প্রধান নদী আত্রেয়ী, পূনর্ভবা ও টাঙ্গন। আত্রেয়ী ও পূনর্ভবার বাঁধ ভেঙে দিন চারেক আগে প্লাবিত হয়েছে বালুরঘাট, তপন ও গঙ্গারামপুরে বেশ কিছু এলাকা। তবে মঙ্গলবার রাতের পরে বৃষ্টি না হওয়ায় জলস্তর বাড়েনি আত্রেয়ী ও পূনর্ভবার। জেলার ডাকরা ও বেলাইন এলাকায় বন্যা হওয়ার কারনে গ্রামের প্রায় ৭০ -এরও বেশি ঘর গ্রামছাড়া। কেউ আশ্রয় নিয়েছে স্টেশনে তো আবার কেউবা আশ্রয় নিয়েছে স্কুল ঘরে। চকভৃগু এনসি হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছে ৫০ -এরও বেশি পরিবার।
২০১৭ সালে বন্যায় যেভাবে এই এলাকার মানুষকে ঘর ছাড়া হতে হয়েছিল, সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হবে আবারও বৃষ্টি আসলে। এমতাবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনও শরনাগত মানুষদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে। বৃহষ্পতিবার রাতে জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে মণ্ডল সম্পাদক বিপ্লব মণ্ডলের নেতৃত্বে চকভৃগু এনসি হাইস্কুলে থাকা দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ভাত ও সোয়াবিনের তরকারি। রিতিমত স্কুল প্রাঙ্গণে রান্না করে খাবার তুলে দেয়া হয় দুর্গতদের হাতে। এমন ঘরছাড়া অবস্থায় খাওয়ার পেয়ে খুশি শরনার্থীরা।
এই বিষয়ে জেলা বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক বিপ্লববাবু জানান, “বন্যায় ডাকরা ও বেলাইন এলাকার মানুষ অসহায় পড়েছে। তারা দিশা না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছে এই স্কুলে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে কিছু খাবার তাদের হাতে তুলে দিয়েছি।” খাবার পেয়ে খুশি তারা বলে জানান বিপ্লববাবু।