বিধবা ভাতার শংসাপত্র তুলতে গেলে বৃদ্ধার সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এক পুরসভার কর্মীর বিরুদ্ধে। পাল্টা ওই পুরো কর্মীকে মারধর করেছেন আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি রাকেশ শীল বলে অভিযোগ করেন পুরকর্মী। যদিও অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন রাকেশ শীল।
1 min read
আজকেরবার্তা, বালুরঘাট ১৯এপ্রিলঃ বালুরঘাট পৌরসভায় বোর্ড মিটিং এর আগেই আইএনটিটিইউসি নেতার দাদাগিরির অভিযোগ। দাবি তার প্রহারে আহত এক পুর কর্মী। এরপর কিছুক্ষণের জন্য বোর্ড মিটিং বন্ধ করে দেয় পৌরসভার কর্মীরা। পরে পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন করে বোর্ড মিটিং শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক মহিলা বিধবা ভাতার জন্য এদিন পৌরসভায় আসেন। তার বিধবা ভাতার টাকা ব্যাংকে জমা পড়লেও, তিনি টাকা পাচ্ছিলেন না পৌরসভার একটি শংসাপত্রের অভাবে। ওই বিধবা মহিলার অভিযোগ, বিধবা ভাতা বিভাগের কর্মী তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এদিকে বয়স্ক ওই বিধবাকে বিধবা ভাতা পেতে পৌরসভায় যোগাযোগ করতে বলেছিলেন আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি রাকেশ শীল। তার পাঠানো লোককে পৌরসভার কর্মী খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি জানতে পেরে রাকেশ বাবু পৌরসভার ঐ কর্মী রুদ্র প্রসাদ সাহা কে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে বালুরঘাট পৌরসভার অভিযুক্ত কর্মী দাবি করেন তাকে মারধর করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বালুরঘাট পৌরসভার কর্মীরা কর্মবিরতির ডাক দেয়।
কিন্তু ঘটনার চিত্র একটু অন্যরকম বলে দাবি করছেন বিধবা ভাতার শংসাপত্র পুরসভায় আনতে যাওয়া মহিলা। তার দাবি বারংবার তিনি বালুরঘাট পৌরসভায় জান বিধবা ভাতার টাকা তুলতে পারার জন্য শংসাপত্র আনতে। কিন্তু পুরসভার কর্মীরা তাকে বারংবার অবহেলিত করে। তাকে পৌরসভা থেকে বের হয়ে যেতে বলে। পাশাপাশি শংসাপত্র নিতে যাওয়া বিধবা মহিলা আরো অভিযোগ করে জানান তাকে ধাক্কা দিয়ে পৌরসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়। অবশেষে তিনি দিশেহারা হয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি রাকেশ শীলের দ্বারস্থ হন।
এদিকে বালুঘাট পৌরসভা পৌর নির্বাচনের পর এদিন ছিল প্রথম বোর্ড মিটিং। পৌর কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ নিয়ে বোর্ড মিটিং চলাকালীন সময়েই পৌর কর্মচারী রা বিক্ষোভ দেখায় ও বোর্ড মিটিং এর ভিতরে ঢুকে পড়েন এবং সেখানেই চেয়ারম্যানের বিবৃতি দাবি করেন। চেয়ারম্যান তাদের সাথে কথা বলার আশ্বাস দিলে এই মুহূর্তে পৌর কর্মচারীরা বোর্ড মিটিংয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেও বালুরঘাট পৌরসভার সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।
অপরদিকে বালুরঘাট পৌরসভা কর্মী ইউনিয়ন আইএনটিটিইউসি সভাপতি সুবোধ পালিত জানান তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না তাই সত্য ঘটনা কি তা তিনি জানেন না। কিন্তু বিধবা ভাতা নিতে আসা অবহেলিত বয়স্ক বৃদ্ধা তাকে জানায় যে কোনো রূপ মারামারি হয়নি।
এদিকে অভিযুক্ত আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি রাকেশ শীল জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না বিরোধীরা চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।