সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির নজির গড়ে চলেছে তপন মনোহলির মা কালির পুজা
1 min readআজকেরবার্তা, তপন, ১৮অঅক্টোবরঃ “ধর্ম যার যার উৎসব সবার” এই কথা মতোই দক্ষিন দিনাজপুর জেলার তপনের মনহোলী গ্রামে সর্বজনীন কালীপুজো হয়ে আসছে প্রায় ২৫০ বছর ধরে। জাত-পাতের ভেদাভেদ যখন চলছে সারা দেশ জুড়ে এই সময়ও অনন্য নজির বজায় রেখে চলছে এই কালীপূজো। “মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসুলমান” এই ভাবেই দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ পূজো করে চলেছে।
প্রায় ২৫০ বছর ধরে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত ভাবে পূজোর আয়োজন করে চলেছে। একে অপরের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেয় তারা। তবে শুধুমাত্র যে অন্য সময় তা নয়, এই পূজোতেও হাত বাড়িয়ে দেয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। প্রথমদিকে মন্দির ছিল না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ওই স্থানে মন্দির তৈরী করা হয়েছে। এমনকি স্থাপন করা হয়েছে মায়ের থানও। প্রতি বছর পুজো পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে থাকেন হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এই সময় পূজো কমিটির ধর্মাবলম্বী মানুষেরা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রসাদ খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রন করে আসেন। পূজোর দিন সকল গ্রামবাসীরা একসাথে প্রসাদ খান। মায়ের স্থানের পাশেই ওইদিন মাজারের পূজো করে থাকেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। সেই উপলক্ষ্যে সিন্নি করে থাকেন। এই রীতিও চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। জাতপাতের ভেদাভেদ মুছে ফেলে এ যেন এক দৃষ্টান্ত।
শুধুমাত্র তপন থানা এলাকার লোকজনই নয় প্রতি বছর এই পূজোতে বহু দূর দূর থেকে ভক্তরা আসে। মানসিদেরও পূজো হয় প্রায় ২০০ টির মতো। এই পূজোতে পাঠা বলিও হয় প্রায় ৪০-৫০ টি। এই পুজো দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বুকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা উদাহরণ তৈরি করে আসছে বছরের পর বছর ধরে। যেটি দক্ষিন দিনাজপুর জেলার একমাত্র মিশ্র সংস্কৃতির উদাহরণ।