ইলেক্ট্রিক ল্যাম্পের সাথে তালে তাল মিলিয়ে এবার দীপাবলিতে বাঙালীর ঘরে ঘরে জ্বলবে মাটির প্রদীপ।
1 min read
আজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ১৮অক্টোবরঃ দীপাবলিতে এল ই ডি লাইটের টুনি বালবের সঙ্গে লড়াইতে হার না মেনে কোমর বেঁধে, মাটির প্রদীপ তৈরি হচ্ছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার কুমোর পাড়ায়। দীপাবলীতে আলোর রোশনাইয়ে বাংলার ঘরগুলি যখন রঙিন হয়ে উঠতে .আজকাল আধুনিক লাইট থেকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রিক প্রদীপে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। কিন্তু তারপরেও বাজারে এখনো মাটির প্রদীপের চাহিদা ব্যাপক হারে রয়েছে। কারণ রীতি মেনে এখনো কালীপুজো ও দীপাবলীতে মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। তাই কালীপুজো ও দীপাবলীর আগে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কুমোরপাড়ায় মাটির প্রদীপ তৈরির চরম ব্যস্ততা। যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে দিন পালটেছে কুমোরপাড়ার হালও। আগে যেখানে কাঠের চরকায় মাটির তালের স্তুপ রেখে লাঠি দিয়ে চরকা ঘুড়িয়ে মাটির হাড়ি পাতিল গ্লাস ধুনুচি ও প্রদীপ তৈরি হতো। এখন কাঠের চরকা কে হঠিয়ে কুমোর পাড়ায় ঘরে ঘরে জায়গা করে নিয়েছে বিদ্যুৎ চালিত লোহার চরকা।আর তাতেই দিন ফিরছে এই প্রতিযোগীতার বাজারে মৃৎশিল্পিদের।আগে ঘন্টায় হাতের শক্তি খরচ করে যা জিনিষ বানানো হতো এখন তার চেয়ে বেশি জিনিষ তৈরি করে বাজার যাত করতে সক্ষম হচ্ছে তারা।
কালীপুজোয় প্রতিটি বাড়িতেই মাটির প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে। পঞ্চপ্রদীপ জ্বালানো হয় দীপাবলীর রাতে।সেদিকে লক্ষ রেখেই দুর্গা পুজোর পর থেকেই মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে কুমোর পাড়ার ঘরে ঘরে। বিভিন্ন ধরনের প্রদীপ তৈরি হচ্ছে। বছরের অন্যান্য সময় মাটির বিভিন্ন পাত্র তৈরি করে থাকেন এই মৃৎ শিল্পীরা। বছরের দুর্গা পুজো থেকে কালী পুজো পর্যন্ত মাটির প্রদীপ, ধুনুচি ঘট এই সমস্ত সামগ্রীর চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। তাই এই সময় তারা অন্যান্য কাজ বন্ধ করে মূলত পূজোর সামগ্রী তৈরিতে মনোযোগ দেন। গত দুবছর করোনার জন্য পুজোয় এই শিল্পের সাথে জড়িতরা মার খেলেও এবছর করোনা প্রভাব কিছুটা দূর হটায় ইলেকট্রনিক লাইটের পাশাপাশি প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছে কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পিরা। তাই ৮০ থেকে ১০০ টাকায় একশ প্রদীপ বিক্রি হচ্ছে। আগে যেখানে ভাড়ে করে মাটি আসত সেখানে এখন ট্রাক্টর ভর্তি করে মাটি আসছে প্রদীপ তৈরি র জন্য। তাহলেই বুঝে নেওয়া যায় যতই এল ই ডি বা ইলেকট্রনিক ল্যাম্প্যের প্রদীপের আলো জলুক না কেন গৃহস্থ্যের বাড়ি আলোর উৎসবে রাংগিয়ে তুলতে মাটির তৈরি প্রদীপের কোন জুড়ি নেই।