নিজের প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে আবারও হেমরম পরিবারের পাশে দাঁড়ালো আইএনটিটিইউসি সভাপতি রাকেশ শীল
1 min read
আজকেরবার্তা, হিলি, ১৮এপ্রিলঃ বরাবরের জন্যই মানবিক রূপ দেখতে পাই আমরা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আইএনটিটিইউসি সভাপতি রাকেশ শীলের। জেলাজুড়ে বহু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ঠিক তেমনি নিজের প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে ব্লকের টিও নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা অসহায় বৃদ্ধ মুন্সি হেমরমের পরিবারের পাশে সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি রাকেশ শীল৷ বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই বৃদ্ধ মুন্সি হেমরম ও তার নাতনিদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন রাকেশ বাবু। যেমন বলা তেমন কাজ নিজের প্রতিশ্রুতি একমাসেই এই অসহায় পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন রাকেশ বাবু। নববর্ষের ঠিক পরে আবারো সোমবার ওই পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তিনি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আইএনটিটিইউসি সভাপতি রাকেশ শীল দরিদ্র মানুষের সাথে সর্বদা থাকেন। তেমনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের তিওর ন পাড়া এলাকার বাসিন্দা অসহায় বৃদ্ধ……. এর পাশে বহুদিন ধরে রয়েছেন রাকেশ বাবু। বিগত কয়েক মাস ধরে……. হাতে রাকেশ শীল তুলে দেন মাসের আনাজ। সেইমতো ফেব্রুয়ারি মাসের আনাজ তুলে দিলেন একটি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাকেশ বাবু। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ……. এর মেয়ে ও জামাই মারা গেছেন চার ছেলেমেয়ে এখন বৃদ্ধের কাছেই থাকে। অসহায় বৃদ্ধ…… এর পায়ের সংস্থা বলতে সরকার বৃদ্ধ ভাতার প্রদত্ত হাজার টাকা আর সেই অল্প টাকায় বৃদ্ধ…. এর স্ত্রী ও নাতি নাতনীদের দিন গুজরান সম্ভব হয়ে ওঠেনা। এই খবর জানায় মাত্র রাকেশ বাবু তাদের পাশে দাঁড়ানো উদ্যোগ নিয়েছিলেন কয়েক মাস আগে । সেই থেকে তার এই প্রয়াস চলছে নিয়মিতভাবে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মাসেও তিনি ওই বৃদ্ধির পাশে দাঁড়ালেন।
প্রসঙ্গত, তিওর নওপাড়া এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি মুন্সি হেমব্রম ও ভুলি হাঁসদার কন্যা মিনতি হেমরম এর সাথে বিয়ে হয় মাহিনগর এলাকার বাসিন্দা সুকুল সরেনের। বছর চারেক আগে সুকুল সরেন টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপরে মিনতি হেমরম একাই তার চার সন্তানকে মানুষ করেছিলেন। এক বছর আগে কারেন্টের শক খেয়ে মৃত্যু ঘটে মিনতি হেমরমেরও। তারপরে বৃদ্ধ মুন্সি হেমরম তার অসহায় অনাথ নাতনীদের বাঁচাতে তার কাছে নিয়ে এসেই রাখেন। যদিও বৃদ্ধ মুন্সি হেমরম বয়সের ভারে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন বললেই চলে। তার আয়ের সংস্থান বলতে শুধু সরকার প্রদত্ত বৃদ্ধ ভাতার 1000 টাকা। আর এই সামান্য পরিমাণ টাকায় তার পরিবারের ছয় জনকে প্রায় অনাহারে অর্ধাহারে কাটাতে হয়। বিগত করোনার সংকটের সময় থেকেই মুন্সি হেমরম, তার স্ত্রী ভুলিদেবী ও তাদের চার নাতনি সুনিতা, কনিকা, দীপালি, শেফালীরা প্রায় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। অসহায় এই কন্যারা আর্থিক অনটনের কারণে স্কুলের গন্ডি দেখেনি বললেই চলে। মাঠ থেকে শাকপাতা এবং পুকুর থেকে গুগলি তুলে এনে কোনমতে নিজেদের আহার যোগার করছে এই অসহায় পরিবারটি।
এই খবর পাওয়া মাত্রই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আই এন টি ইউ সি সভাপতি রাকেশ শীল সাহায্য নিয়ে পৌঁছে যান নওপাড়া গ্রামে। সেখানে তিনি এই হেমরম পরিবারের হাতে চালডাল সহ নানান খাদ্য সামগ্রী ও শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ দের হাতে নতুনবস্ত্র তুলে দেন।
এবং তারপর থেকে নিয়মিত ওই পরিবারের জন্য প্রত্যেক মাসে খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র পরিধান সহ অন্যান্য দিকে নজর রাখছেন দিনাজপুর জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি রাকেশ শীল। রাকেশ শীলের এই মানবিক গ্রুপ কে সাধুবাদ জানিয়েছে এছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসি।