বালুরঘাট শহরের থানা মোড়, জেলা প্রশাসনিক ভবন, জেলা আরক্ষাধীক্ষকের অফিস সংলগ্ন এলাকায় দেখা যায় আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের সদস্যদের পিকেটিং।
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ১৭ এপ্রিল: বালুরঘাট শহরে লাগাতর চলে যাচ্ছে আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের ডাকা বন্ধের পিকেটিং। বালুরঘাট শহরের থানা মোড়, জেলা প্রশাসনিক ভবন, জেলা ১আরক্ষাধীক্ষকের অফিস সংলগ্ন এলাকায় দেখা যায় আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের সদস্যদের পিকেটিং।
সারা বাংলা জুড়ে চলা ১২ ঘন্টার বন্ধ সফল করতে আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের সশস্ত্র বাহিনী উপস্থিত রাস্তায়। দোকান পাঠ থেকে শুরু করে করে বাজার সমস্ত কিছু বন্ধ। যে সমস্ত দাকানদারেরা দোকান খুলেছিল তাদের দোকানো বন্ধ করে দেওয়া হয় বন্ধ সমর্থকদের পক্ষ থেকে।
প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন একালা থেকে শুরু করে বালুরঘাট থানার সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের পক্ষ থেকে৷ জোর কদমে চলছে পিকেটিং। রাস্তায় পথ চলতি মানুষদের সতর্ক করে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বন্ধ সফল করতে। কিছু বিক্ষিপ্ত দৃশ্য নজরে আসে।
প্রসঙ্গত, আদিবাসি সম্প্রদায়ের মহিলাদের তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন মহিলা সভানেত্রীর উদ্যোগে বালুরঘাট শহরের রাস্তায় দণ্ডী কাটানো হয়। বৃহস্পতিবার তপন ব্লকের গোফানগর এলাকার যে সমস্ত মানুষেরা বিজেপিতে যোগদান করেছিল তাদের মধ্য থেকে তিন জন আদিবাসী মহিলাকে বালুরঘাট শহরের রাস্তায় দণ্ডী কাটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে তাদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হয়। ঘটনা কে কেন্দ্র করে সারা রাজ্য জুড়ে উঠেছে রাজনৈতিক তুফান। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি এবারে পথে নেমেছে আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান। আদিবাসী মহিলাদের নিগ্রহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল সারা আদিবাসী সমাজ। বিগত শুক্রবার ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিল আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমেটি। সারা বাংলা জুড়ে চলা ১২ ঘন্টার বছর বন্ধ সফল করতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পিকেটিং আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের। বন্ধ থানা ও প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তা।
বন্ধ সমর্থকরা যথারীতি পথে নেমেছে বনধকে সাফল্য দিতে।সাধারন মানুষ পথে বেরলেই সাধারন মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়ছেতারা,শুধু তাই নয় মোড়ে মোড়ে নানান রকম অস্ত্র দেখিয়ে আতংক সৃষ্টি করছে সাধারণ মানুষের উপর। দুএক যায়গায় এক দুটি চড় থাপ্পড় মারার দৃশ্য নজরে আসে।
জেলা আদিবাসি সিঙ্গেল অভিযানের পক্ষ থেকে বিক্রম পাহান জানান, দণ্ডী কাটার মুল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে যতক্ষন না পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করছে ততক্ষণ আদিবাসী সমাজ লড়াই করে যাবে। প্রদিপ্তা চক্রবর্ত্তীর গ্রেফতারের দাবির পাশাপাশি দেউচাপচামী ও চা বাগান এলাকায় আদিবাসিদের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আদিবাসি ছাত্র ছাত্রীদের সাওতালি প্রশ্ন পত্র না দেওয়ার প্রতিবাদে তাদের আজকের এই বন্ধ।
তাকে যখন সংবাদ মধ্যম মনে করিয়ে দেয় আদিবাসী মহিলাদের রাস্তায় দণ্ডী কাটার ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে তো গ্রেফতার করেছে। তার উত্তরে আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের পক্ষ থেকে বিক্রম পাহান বলেন, হাত ভাংগলে কেউ যদি পায়ের চিকিৎসা করেন সেটা কেউ কখনও করে নাকি। আমরা চাই মুল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর গ্রেফতার। তার দাবি অবিলম্বে যদি তাকে গ্রেফতার না করা হয় তবে তারা আগামীতে ভারত বন্ধের ডাকতে বাধ্য হবেন বলে হুশিয়ারী দেন।