আদালতের নির্দেশে আসার আগেই এবারে সরাসরি ইস্তেফা দিলো খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। পদত্যাগের পর ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান দাবি করেন তিনি বিজেপির সদস্য।
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ১৭ ফেব্রুয়ারি: আদালতের নির্দেশে আসার আগেই এবারে সরাসরি ইস্তেফা দিলো খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। পদত্যাগের পর ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান দাবি করেন তিনি বিজেপির সদস্য। অপর দিকে বিজেইর দাবি, আসন্ন অনস্থা ভোটে পরাজয়ের ভয়ে পদত্যাগ করেন তৃণমূল সমর্থিত প্রাক্তন ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। ঘটনাকে ঘিরে ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক চাপান্তর।
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১১ টি ও তৃণমূল ৯ টি আসনে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে বিজেপির প্রধান সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করায় ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবং পঞ্চায়েত প্রধান নির্ধারিত হন মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর।
পরবর্তীতে আবারো সময়ের চাকা ঘুরে গিয়ে ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যা লঘিষ্ঠ হয়ে দাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস। এমত অবস্থায় ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে অনস্থা ভোটের প্রস্তাব নিয়ে বিডিও-র দারস্থ হয় বিজেপি৷ কিন্তু সেখানে কোন রুপ ব্যাবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। বালুরঘাট বিডিও অনুজ সিকদারের বিরুদ্ধে অনস্থা ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ তোলে সরব হয় বিজেপি। ঘটনায় বিজেপি বালুরঘাট মন্ডল সভাপতি সুভাষ সরকার বালুরঘাট বিডিও অনুজ সিকদারকে চেয়ার ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বালুরঘাট থানার দারস্থ হয় বিডিও অনুজ সিকদার ও তার পর বালুরঘাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করে বিজেপি বালুরঘাট মন্ডল সভাপতি সুভাষ সরকারকে। ঘটনার ফল স্বরুপ সাময়িক ভবে ভেস্তে যায় ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অনস্থা ভোট।
এর পর বিজেপির পক্ষথেকে আদালতে আর্জি জানায় ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অনস্থা ভোট নিয়ে। আদালতের নির্দেশ আসার আগেই ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে অনস্থা ভোটের দিন ঠিকের আগেই প্রধান পদ থেকে ইস্তেফা দেয় তৃনমুল কংগ্রেসে সমর্থকিত প্রধান মল্লিকা কর্মকার সুত্রধর। ঘটনায় বিজেপির দাবি, অনাস্থা ভোটে তৃণমূল সমর্থিত পঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা কর্মকার সূত্রধরের পরাজয় নিশ্চিত, সেই কারণেই তিনি পদত্যাগ করেন ও এখন মিথ্যা কথা বলছেন।