বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারে জন্ম নিল “কন জয়েন্ট টুইন বেবি”। সুস্থ মা ও শিশুরা।
1 min read
আজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ১৬ জুনঃ জটিল অস্ত্রোপচারে আবার সাফল্য বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল এর। বৃহস্পতিবার বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডক্টর রঞ্জন কুমার মুস্তাফি জটিল অস্ত্রোপচার করে ‘কন জয়েন্ট টুইন’ বেবি প্রসব ঘটিয়ে তাক লাগালেন। অস্ত্রোপচারে পর সুস্থ মা ও জয়েন্ট টুইন বেবি।
জানা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বিশ্বনাথপুর এলাকার বাসিন্দা গৌরী প্রসাদ দাস মন্ডলের স্ত্রী জয়া দাস মন্ডল প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসক রঞ্জন কুমার মুস্তাফি পরীক্ষা করে দেখেন যে জয়া দাস মন্ডলের পেটে যমজ বাচ্চা রয়েছে এবং তাদের প্রসব করাতে গিয়ে ডাক্তার বাবু দেখেন ওই জমজ বাচ্চা দুটি “কন জয়েন্ট টুইন” বেবি। এই অবস্থায় বাচ্চাদের প্রসব করানো জটিল ও বিরল বটে। মূলত এই ধরনের প্রসব মেডিক্যাল হাসপাতালেই হয়ে থাকে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হওয়ায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বালুরঘাট শহরের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় এই ধরনের প্রসব করিয়ে তাক লাগালেন ডাক্তারবাবু। ইতিমধ্যেই মা ও শিশুরা অনেকটাই ভালো আছে বলে জানা গেছে।
জটিল অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডক্টর রঞ্জন কুমার মুস্তাফি জানান, এদিন রোগী প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল ভর্তি হয়। মায়ের শারীরিক গঠন অনুসারে পেটে বাচ্চার আকার বড় মনে হওয়ায় আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। এরপরেই দেখা যায় যে জমজ বাচ্চা রয়েছে। এবং একটি বাচ্চার পা বেরিয়ে এসেছে এই পরিস্থিতিতে সিজার করতে গেলে দেখা যায় দুটো বাচ্চা একসঙ্গে জোড়া লেগে রয়েছে যেটাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হচ্ছে “কন জয়েন্ট টুইন” বেবি। এই অবস্থাতেই সিজার করে বাচ্চা দু’টোকে বের করানো হয়। দুটো বাচ্চা ছেলে বলে জানান ডক্টর রঞ্জন কুমার মুস্তাফি।
জটিল অস্ত্রোপচারের পরেও রোগী ও বাচ্চারা সুস্থ রয়েছেন। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও ডাক্তারবাবুকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রোগীর পরিবার।