ডাক্তারি পড়াশোনার সময়কাল সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ কে কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি ডাঃ সুকান্ত মজুমদারের।
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ১৬ মে: ডাক্তারি পড়াশোনার সময়কাল সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ কে কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি ডাঃ সুকান্ত মজুমদারের। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার জন্য যা যা করণীয় তাই করছেন বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষা বিভাগের তিন বছরের ডাক্তার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়ে এ কথা বলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ডাঃ সুকান্ত মজুমদার।
সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু তিন বছরে ডাক্তার তৈরির সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে গ্রহন করেছেন। এই সিধান্তের পর থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে একাধিক মন্তব্যর ঝড়। মন্তব্য প্রকাশ করতে বাদ যায়নি বিজেপি রাজ্য সভাপতিও।
বালুরঘাট শহরের নিজেস্ব কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দাবি করেন, বিগত কয়েক বছর থেকে রাজ্য সরকার ডাক্তার নিয়োগ করতে অক্ষম। দীর্ঘসময় থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে নিয়োগ প্রকৃয়া। রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে ডাক্তারের শূন্য পদ রয়েছে। রাজ্যের কোন হাসপাতালে ডাক্তার যোগ দিতে চায়না বলেও দাবী করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর তিন বছরে ডাক্তার তৈরির সিদ্ধান্তকে সুকান্ত মজুমদার ব্যাঙ্গ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিড়ল প্রতিভা সম্পূর্ণ মানুষ উনি চাইলে তিন বছরে নয়, মাত্র তিন দিনে ডাক্তার তৈরি করতে পারেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি ডাঃ সুকান্ত মজুমদার আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এই নতুন ডাক্তার তৈরির সিদ্ধান্তর মধ্য দিয়ে আবারো রাজ্যে নতুন দূর্নীতি ও চুরির জায়গা তৈরি করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যেখানে কোন ক্যারিকুলাম নেই, নেই কোন ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেই সেখানে হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। কাদের নিয়ে বিশেষ টিম তৈরি করা হলো, কোন নির্ভরযোগ্যতার উপর নিয়োগ হবে ও এই পড়াশোনার ফলাফল কি তাও রাজ্যবাসি জানে না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ নিয়ে একাধিক বিতর্কিত মতামত উঠে আসছে। সুকান্ত বাবু অভিযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে নষ্টকরে সারা দেশে নজির গড়তে উদ্যোগী হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি অতন্ত্য চিন্তিত বলে জানান।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন বছরে ডাক্তার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়ে একাধিক বিতর্কিত সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। রাজনৈতিক দল থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
বালুরঘাট শহরের এক আইনজীবী জানান, আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের বেশিরভাগ অংশ এখন শ্রীঘরে রয়েছে। একাধিক দুর্নিতিতে ভরে গিয়েছে রাজ্য। টাকা নিয়ে নিয়োগ করার জন্য এক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার বলে জানান তিনি।