প্রশাসনের উদ্যোগে বিরসা মুন্ডার ১৪৭ তম জন্ম দিবস সাড়ম্বরের পালিত হল বালুরঘাটে
1 min read
আজকেরবার্তা, বালুরঘাট ১৫ নভেম্বরঃ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিরসা মুন্ডার ১৪৭ তম জন্ম দিবস সাড়ম্বরের সাথে পালিত হল। মঙ্গলবার বালুছায়া সভাগৃহে এই জন্ম দিবস পালনে উপস্থিত ছিলেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা, অতিরিক্ত জেলাশাসক আব্দুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়, মেকেনটসবার্ন লিমিটেডের কর্ণধার শংকর চক্রবর্তী, কুশমন্ডির বিধায়িকা লিপিকা রায়, ডিপিএসসি চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা সহ অন্যান্যরা।পাগড়ি পরিয়ে অতিথিবরণ করবার পাশাপাশি প্রদীপ প্রজ্জলন এর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মোট ৪৫ টি লোকো শিল্পী তলকে ধামসা, মাদল সহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম প্রদান করা হবে।
মুণ্ডা সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। উল্লেখ্য ১৮৭৫ সালে বর্তমানে রাচি শহরের কাছে কুলিহাতু গ্রামের বাম্বা এলাকায় বিরসা মুন্ডার জন্মগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার জন্মগ্রহণ করে জন্য পিতা সুগানা মুন্ডা নাম রাখেন বিরসা। সেই সময় এই মুন্ডা সম্প্রদায় এর কাছ থেকে ইংরেজরা অরণ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি আদিবাসীদের কাছ থেকে খুদকাঠি প্রথা উচ্ছেদ করে ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি নষ্ট করে দিচ্ছিল। তারই বিরুদ্ধে বিরসা রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই আদিবাসী সম্প্রদায় এর মানুষদের খেপিয়ে তোলার অপরাধে দুবছর সশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত করে ইংরেজ প্রশাসন। সে সময় হাজারীবাগ জেলে বিরসা এই দু বছর কাটান। ১৮৯৭ সালে ৩০ শে নভেম্বর মুক্তি পেয়ে পুনরায় কোল, ভিল, মুন্ডা সহ বিভিন্ন আদিবাসী জনজাতি গোষ্ঠীদের দের একত্রিত করবার কাজ তিনি শুরু করেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। অবশেষে ১৯০০ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি বিরসা কে পুনরায় গ্রেপ্তার করে ইংরেজ প্রশাসন। এরপর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিরসা এই ২৫ বছর জীবদ্দশায় ভগবানের জায়গা তিনি করে নেন। এরপর বিরসার বাসভূমি হয়ে ওঠে মুন্ডা সম্প্রদায়ের কাছে একটি পিঠস্থান।