আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের ডাকা ১২ ঘন্টার ভারত বনধের মিস্র প্রভাব দেখা গেল বালুরঘাট শহরে।
1 min readআজকেরবার্তা বালুরঘাট, ১৫ জুন: সারা দেশের পাশাপাশি দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরেও পালিত হলো আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের ডাকা ১২ ঘন্টার ভারত বনধ। বনধের কারনে বেসরকারি যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু আদিবাসী সম্প্রদায়ের ডাকা অন্যান্য বনধের তুলনায় বালুরঘাট শহরের চিত্র ছিল অনেকটাই ভিন্ন।
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের মারাং গুরু বাঁচাও দাবি তুলে ১২ ঘন্টার ভারত বনধের ডাক দেয়। মূলত আদিবাসীদের ধর্ম সারনা ধর্ম এর কোড দেওয়ার দাবিতে এদিন ভারত বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের আবাসস্থল পরেশনাথ পাহাড় দখল করে জৈন ধর্মের প্রসারে যে উদ্যোগ চলছে এই উদ্যোগ বন্ধের দাবিতেও ভারত বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান।
একাধিক দাবি তুলে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টার সারা ভারত বনধের ডাক দেয় আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান। বনধের কারণে বালুরঘাট শহরের রাস্তা সকাল থেকে জনশূন্য ছিল। বেসরকারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে এদিন। কিন্তু, বেলা বারার সাথে সাথে বালুরঘাট শহরের বেশ কিছু দোকান পাঠ খুলতে শুরু করে। আপদকালীন পরিষেবা চালু থাকে বনধের পরও।
যদিও আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন এই নিয়ে বিগত দুই মাসে পাঁচবার বনধের ডাক দিয়েছে। বিগত দিনে বনধে বনধ সমর্থকদের দ্বারা একাধিক বিক্ষিপ্ত ঘটনা নজরে আসে জেলা জুড়ে। হাসপাতাল যাওয়ার পথে টোটোর চাকায় কোপ থেকে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা পর্যন্ত নজরে আসে বনধ সমর্থকদের উদ্যোগে।
হয়তো এই সমস্ত কারণ বসত এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের ডাকা ভারত বনধে মিশ্র প্রভাব দেখা দিয়েছে। বনধে কারণে বালুরঘাটে দোকান বাজার বন্ধ ছিল। আপদকালীন পরিষেবা চালু ছিল। বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তবে অল্প সংখ্যক সরকারি বাস চলাচল করছে। যার ফলে, সমস্যায় পড়তে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের।
তবে, বৃহস্পতিবার আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের ডাকা ১২ ঘন্টার ভারত বনধে নজরে আসেনি কোনরুপ পিকেটিং। সকাল থেকে বালুরঘাটে বনধ সমর্থকদের পিকেটিং করতে দেখা যায় নি আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের সদস্যদের। সরকারি বাস স্টান্ড থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে কোন খানেই দেখা মেলেনি বনধ সমর্থকদের।