ফকিরগঞ্জের আদিবাসী মহিলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলা পুলিশের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি এসটি এসসি সেলের নেতৃত্ব।
1 min read
আজকেরবার্তা, দক্ষিন দিনাজপুর, ১৪মেঃ ফকিরগঞ্জের আদিবাসী মহিলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলা পুলিশের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি এসটি এসসি সেলের নেতৃত্ব। তাদের দাবি আসল অপরাধী কে ধামাচাপা দিতে মৃতার সৎ ভাইকে অভিযুক্ত সাজায় পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করলো মালদার হবিবপুর বিধানসভার বিধায়ক জুয়েল মুর্মু ও তপন বিধানসভার বিধায়ক বুধরাই টুডু।
উল্লেখ্য, কুমারগঞ্জের আদিবাসি মহিলার হত্যাকান্ডের কিনারার করার সাথে সাথে হত্যাকারিকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জেলা পুলিশ দাবি জানিয়েছিল। পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপারের দাবি তাকে ধর্ষন করা হয়নি। কিন্তু জেলা পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ জেলা বিজেপির এস সি / এস টি সেলের দুই নেতৃত্ব। এদিন দুপুরে বালুরঘাট শহরের বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দলের এস সি / এস টি সেলের পক্ষ থেকে ডাকা এক সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি জানান দুই বিধায়ক।
সংবাদমধ্যমের কাছে মালদার হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু খোলাখুলি কুমারগঞ্জের মৃত আদিবাসি মহিলা গোলাপী টুডুর মৃত্যু নিয়ে পুলিশের দিকে অভিযোগ জানিয়ে দাবি করেন পুলিশ আসল বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই তড়িঘড়ি মৃতার পরিবারকে চাপ দিয়ে দেহ সৎকার করবার চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি তার দাবি হত্যাকারি হিসেবে পুলিশ যাকে ধরেছে সে মৃতার ভাই, সে নাবালক, সে কখনই একজন ৪০/৪২ বছরের মহিলাকে সামান্য টাকা পয়সার জন্য মেরে ফেলার মত সাহস ও মুরোদে কুলবে না। তা ছাড়া তার ভাই যদি তাকে মেরেই ফেলার কথা ভাববে তবে সে বাড়িতেই মেরে ফেলতে পারত। অতদুরে নিয়ে গিয়ে কেন সে মারতে যাবে বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি তার আরো অভিযোগ যে ভাবে ওই মহিলার দেহ পাওয়া গেছে, তাদেখে এলাকার বাসিন্দাদের ধারনা তাকে ধর্ষন করেই মেরে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ আসল দোষীদের গ্রেফতার না করে তাদের আড়াল করবার জন্য তার নাবালক সৎভাইকে গ্রেফতার করেছে মিথ্যে অভিযোগে।তিনি বলেন এই রাজ্য সরকারের আমলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনেক সময় অনেক কিছুই করা হয়ে থাকে সে আপনারা সবাই জানে। তাই পুলিশ অবিলম্বে এই আদিবাসি মহিলার হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত না করলে তারা পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে বাধ্য হবেন বলে অভিযোগ জানান আজকের সাংবাদিক বৈঠকে।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে আজ বিকেলে জেলা বিজেপির এই শাখা সংগঠনের তরফে বালুরঘাট শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।
অপরদিকে বিজেপির বিধায়কের এই দাবি পুরোপুরি নসাৎ করে জেলা তৃনমুল দলের সভাপতি উজ্জ্বল বসাক জানান বিজেপি জনমানসে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করার জন্য এসব অভিযোগ পুলিশের দিকে তুলছে। কিন্তু পুলিশের উচ্চ কর্তারা যে ভাবে ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তদন্তের তদারকি করেছে, তা সবাই দেখেছে। পাশাপাশি আসামীকেপুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। এরপর বিজেপি নোংরা রাজনীতি করার জন্য এসব অভিযোগ তুলছে বলে তিনি দাবি করেন।