বালুরঘাট হাসপাতাল কর্মীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে সারারাত বহির্বিভাগে বন্দি থাকলো এক ষাটোর্ধ বৃদ্ধ রোগী।
1 min readবালুরঘাট ১৩ জুলাই ঃ – হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে আবারো উঠল প্রশ্ন? না এবারে কোন ডাক্তার কে হেনস্তা নয়। বালুরঘাট হাসপাতাল কর্মীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে সারারাত বহির্বিভাগে বন্দি থাকলো এক ষাটোর্ধ বৃদ্ধ রোগী। সকালে ঝড়ুদার ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে চমকে ওঠেন বৃদ্ধকে দেখে। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। নিরাপত্তা রক্ষী ও হাসপাতাল কর্মীর দায়িত্ব জ্ঞান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন?
জানা গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাগলিগঞ্জ উদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা নিবারণ মন্ডল (৭৬)। তার তিন ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে নিরঞ্জন মন্ডল গ্রিলের দোকানে কাজ করে, মেজো ছেলে মনোরঞ্জন মন্ডল নিজে তরকারির ব্যবসা করে আর ছোট ছেলে লিটন মণ্ডল একটি মোটর সাইকেলের দোকানে কাজ করে হাসপাতাল মোড়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। নিবারণ বাবু একসময় কৃষি কাজ করতেন বয়সের ভারে এখন আর পারেন না। বেশ কিছুদিন ধরেই লিভারের অসুখে ভুগছিলেন নিবারণ বাবু। ডাক্তারের পরামর্শে নানান প্যাথলজিতে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। শুক্রবার বড় ছেলে নিরঞ্জন মন্ডল কে জানিয়ে তিনি বালুরঘাট বহিঃবিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসেন। বহির্বিভাগের ১৪ নম্বর ঘরের সামনে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর অসুস্থতার কারণে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। আনুমানিক শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে তিনি জ্ঞান হারান, এরপর তার জ্ঞান ফেরে রাত ১ টায়। রাতের অন্ধকারে তিনি বহির্বিভাগের
ভেতরে বন্দি হয়ে থাকেন। বারবার জানালার পাশে গিয়ে চিৎকার করে নানান জনকে ডাকলেও সাড়া মেলেনি। এখানে উঠছে প্রশ্ন? কি করছিল নিরাপত্তারক্ষীরা কোথায় ছিল হাসপাতাল কর্মী? কেন দরজা বন্ধের সময় দেখা হয়নি একজন পড়ে রয়েছে।
সারারাত হাসপাতালের বহির্বিভাগে বন্দি থাকলেও খোঁজ নেয়নি পরিবারের কেউ। সকালে কিছু সহৃদয় ব্যক্তি ডাক্তার দেখিয়ে বৃদ্ধকে ভর্তি করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে।