ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থা নিয়ে বালুরঘাট ব্লকে রণক্ষেত্র, মৃত সদস্যকে জীবিত দেখানোর কারণে বিডিওকে আক্রমণ বিজেপি সমর্থকদের।
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ১২ ডিসেম্বরঃ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান এর বিরুদ্ধে বিজেপির আনাস্থা নিয়ে বৈঠক ছিল এই দিন। অনাস্থা বৈঠক নিয়ে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়ন।
ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত ২০ আসন বিশিষ্ট। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ১১ টি, তৃণমূল ছয়টি এবং বাম তিনটি আসন পায়। বিজেপির প্রধান হন মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর। পরবর্তীতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে পঞ্চায়েত টি তৃণমূলের দখলে চলে যায়। এদিকে গত ২১ অক্টোবর ডাংগা গ্রাম পঞ্চায়েতের মঙ্গলপুর সংসদের তৃণমূল সদস্য সুজন দাস হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ফলে তৃণমূল সংখ্যালঘু হয়ে যায়। এরপর গত ২৮ নভেম্বর বিজেপির পক্ষ থেকে অনাস্থা আনা হয়। সেই আনাস্থা প্রস্তাবের বৈঠক এদিন ছিল। বিজেপির ১০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের মৃত সদস্যকেও বালুরঘাটের বিডিও চিঠি পাঠিয়েছে এবং তাকে এখনো মৃত বলে গণ্য করা হয়নি।
এরপর সংখ্যা গরিষ্ঠ না থাকা সত্বেও তৃণমূলের দখলে থাকা ডাঙ্গা পঞ্চায়েত বোর্ডের বিরুদ্ধে বিজেপির ডাকা অনাস্থা মূলতবি করার অভিযোগ বিডিও বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় ব্লক অফিসে চড়াও হয়ে বিডিওকে মারধর করার অভিযোগ বিজেপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। বিডিও অনুজ কুমার সিকদারের মাথায় ও হাতে চোট লাগে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বিজেপি কর্মী সদস্যরা ব্লক অফিস ছেড়ে চলে যান।
আজ সেই অনাস্থা বৈঠকে বিজেপির ১০ সদস্য সশরীরে অংশ নিলেও তৃণমূলের সদস্যরা অনুপস্থিত ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সদস্যদের ডাকা অনাস্থা মূলতবি করে দেয় বৈঠকে থাকা বিডিও অফিসের প্রতিনিধিরা। এই ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ পঞ্চায়েত ভবন থেকে বিজেপি সদস্যদের বের করে দেন। এর পরেই ক্ষুব্ধ বিজেপি সদস্য ও কর্মীরা ব্লক অফিসে বিডিওর ঘরে ঢুকে তাঁকে চেয়ার ছুড়ে মারেন বলে অভিযোগ।
যদিও ডাঙ্গা পঞ্চায়েত অফিসে মৃত সদস্যকে জীবিত দেখিয়ে বিজেপির ডাকা অনাস্থাকে মূলতবির অভিযোগ এবং কি কারণে তাঁর উপর হামলা সেসবের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বিডিও অনুজ সিকদার।