নিজের গর্ভধারিণী মা-কে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁরই দুই মেয়ের বিরুদ্ধে।
1 min read
আজকের বার্তা, রায়গঞ্জ, ১২ অক্টোবর ঃ- নিজের গর্ভধারিণী মা-কে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁরই দুই মেয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়া পাতপুকুর থেকে কৃষ্ণা দে রায় নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শিক্ষিকার মৃতদেহ উদ্ধার হতেই উত্তেজিত এলাকাবাসী বাড়িতে ঢুকে দুই মেয়েকে ব্যাপক গনপিটুনি দেয়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লীতে। ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ পৌঁছে দুই যুবতী মেয়েকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি পুকুর থেকে ওই শিক্ষিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, রায়গঞ্জের পূর্ব কলেজপাড়া প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা কৃষ্ণা দে রায়। অভিযোগ, কৃষ্ণাদেবীর দুই মেয়ে তাঁর উপর চরম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। কৃষ্ণাদেবীকে মেয়েরা খাবার না দিয়ে বেধে রেখে মারধোর করত। এই বিষয় নিয়ে কৃষ্ণাদেবী স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর তাঁকে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। কিন্তু মাতৃস্নেহের বশে তিনি মেয়েদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নি। এরপর কিছুদিন শান্ত থাকালেও পুজোর সময় থেকে আবার অশান্তি শুরু হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত ৬ অক্টোবর অষ্টমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা কৃষ্ণা দে রায়। কিন্তু তাঁর দুই মেয়ে শ্রেয়া রায় এবং অপর মেয়ে মায়ের নিখোঁজের বিষয়ে কাউকে কিছু না জানানোর পাশাপাশি থানায় মিসিং ডায়েরিও করেনি। শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গোয়ালপাড়ার পাতপুকুরে কৃষ্ণাদেবীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হতেই দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে ঢুকে তাঁর দুই মেয়েকে ব্যাপক গনপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। উত্তেজিত বাসিন্দাদের হাত থেকে দুই মেয়েকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা দুই মেয়ের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।
অপরদিকে অভিযুক্ত এক মেয়ে শ্রেয়া রায় জানিয়েছেন, আমরা ভেবেছি মা মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন। তাই আর তাঁর খোঁজ করিনি। এরকম মা মাঝেমধ্যেই না বলে মামার বাড়ি যেতেন। মায়ের সাথে অশান্তি বা অত্যাচারের কথা অস্বীকার করেছে সে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।