পথশ্রী প্রকল্প ঘটা করে উদ্বোধন হলো কিন্তু ভাগ্য ফিরল না তপন ব্লকের দীপ খন্ডা অঞ্চলের শিবরামপুর এলাকার।
1 min readআজকেরবার্তা, তপন, ১১এপ্রিল: ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়না তপন ব্লকের দীপ খন্ডা অঞ্চলের শিবরামপুরের বাসিন্দাদের। সারা রাজ্য জুড়ে একাধিক সরকারি প্রকল্পর উন্মোচন করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। কিন্তু কোন প্রকল্পের সুবিধা এখনো পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি তপন ব্লকের দীপখন্ডা অঞ্চলের শিবরামপুর গ্রামে।
দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট তাই চারিদিকে রাজ্যের নানান শ্রী প্রকল্পের বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। পথশ্রী প্রকল্প ঘটা করে উদ্বোধন হলো কিন্তু ভাগ্য ফিরল না তপন ব্লকের দীপ খন্ডা অঞ্চলের শিবরামপুর এলাকার।শুধু রাস্তা নয় পানিয় জল থেকে শৌচালয় কিছুই হয়নি ওই গ্রামে।ক্ষোভ এলাকার বিধায়ক থেকে গ্রামবাসি সবার।
স্থানিওদের অভিযোগ দীপখন্ডা অঞ্চলের শিবরামপুরের গ্রামের শিবমন্দির থেকে বাথখোলা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২ কি মি রাস্তা আজ বেহাল হয়ে দীর্ঘ কয়েক দশক পড়ে থাকলেও না পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদের তরফে সেই রাস্তা চলাচলের যোগ্য করে তোলার ব্যাপারে কোন হেল দোল নেই। অথচ বার বার তাদের কাছে দাবি জানিয়েও কোন সুফল পায় নি গ্রামের বাসিন্দারা।
অথচ এই রাস্তার ধরেই বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রাথমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা স্কুল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রতিদিন যাতায়াতে র জন্য এই রাস্তা উপরই নির্ভর করেন।
গ্রামবাসিদের পাশাপাশি বিষয়টি স্বিকার করে নিয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা বিজেপির নেতা বুধরাই টুডু। তিনি জানান আমি নিজে সেখানে গিয়ে দেখে এসেছি বেহাল রাস্তার দশা। যা বর্ষার সময় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। তিনি জানান এই সব রাস্তা করার কথা স্থানিও পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের।কিন্তু তারা সে কাজ করেনি। অথচ তিনি দাবি করেন তিনি নিজে বিধানসভায় পুর্ত মন্ত্রীকে তপনের রাস্তার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তখন মন্ত্রী সব হয়ে গেছে। এবার জুন মাসে বিধানসভা বসলেই তিনি ফের এই প্রশ্ন তুলবেন বলে জানান। পাশাপাশি তার দাবি একান্তই যদি রাজ্য না করে আমার ও সংসদের তহবিল থেকে আমরা দুজনে মিলে করে দেব।
এ তো গেল রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসিদের ক্ষোভ এরপাশাপাশি গ্রামে পানীয় জল না পৌছনয় ক্ষোভ বাসিন্দা থেকে বিধায়কের। অথচ বাড়ি-বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প ‘দ্রুত এগোচ্ছে’ বলে সম্প্রতি বারবারই দাবি করেছে রাজ্য। অথচ তা কতটা বাস্তবায়িত তা তপনের এইসব গ্রাম গুলিতে ঘুড়লেই অতি সহজেই বোঝা যায়। এখনও পানীয় জল আনতে কয়েক মেইল হেটে যেতে হয় গ্রামবাসিদের। যারা অতদুর থেকে আনতে পারেন না, তারা বাধ্য হয়ে পুকুরের নোংরা জল খেতে বাধ্য হন। অথচ কেন্দের ‘জল জীবন মিশন’প্রকল্পের নাম পালটে গালভরা ‘জলস্বপ্ন’ নাম দিয়ে দাবি করা হচ্ছে ২০২৪ এর মধ্যে সব বাড়িতেই নলবাহিত পরিশ্রুত জল পৌছে যাবে।২০২৩ এপ্রিলএর এই প্রখর রোদে দূর থেকে জল সংগ্রহ করে আনা বাসিন্দারা তা কতটা টা বাস্তবায়িত হবে সেটা ভালই বুঝতে পারছেন। কেননা তার কোন লক্ষন দেখা মেলে নি এই পর্যন্ত। তাই ২০২৪ কেন শিবারামপুর কেন তপন জুড়েই চলা জল সংকট ও বেহাল রাস্তার দশা ও নির্মল মিশনের আওতায় আসা সম্ভবপর না হওয়ার চান্স বেশি বলে অধিকাংশ গ্রামবাসিদের ধারনা।