আংশিক লকডাউন সফল করতে উদ্যোগি বালুরঘাট থানার পুলিশ। কিন্তু করোনায় নয় না খেতে পেয়ে মৃত্যু হবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
1 min read
আজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ১০মেঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর প্রকোপ বাড়তে না বাড়তেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন। সরকারের পক্ষ থেকে সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে দোকান বাজার খুলে রাখার। কিন্তু সেই দোকান খোলা বন্ধর সময় কে উপেক্ষা করে চলছে সারাদিনব্যাপী হাট-বাজার। তাই বালুরঘাট শহরে আংশিক লকডাউন কে সফল করতে উদ্যোগি হল বালুরঘাট থানার পুলিশ। সোমবার পুলিশের উদ্যোগে বালুরঘাট শহর জুড়ে টহলদারি করে বন্ধ করানো হয় সমস্ত দোকান পাঠ। বালুরঘাট বড়বাজার, চকভৃগু বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত দোকানপাট খোলা ছিল নির্ধারিত সময়ে পর সেই সমস্ত দোকান বন্ধ করানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সকাল 7 টা থেকে 10 টা এবং বিকেল পাঁচটা থেকে সাতটা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেই মোতাবেক বালুরঘাট শহরে সকাল দশটার পর বন্ধ না হওয়া সমস্ত দোকান বন্ধ করানো হয় পুলিশের উদ্যোগে। বালুরঘাট থানার পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারা এদিন পথে নেমে উদ্যোগি হয় দোকান বন্ধ করার লক্ষ্যে। আংশিক লকডাউন কে সফল করতেই তাদের এই উদ্যোগ।
কিন্তু অপর দিকে ঠিক অন্য চিত্র উঠে আসলেও দোকানদারদের কথায়, তাদের দাবি দোকান খুলতে না খুলতেই বন্ধ করার সময় হয়ে যাচ্ছে তাতে তাদের ব্যবসা পত্র কিছুই হচ্ছে না। তাই করোনার কারণে না টাকা পয়সা না থাকায় অনাহারে এবার মৃত্যু হবে তাদের। ব্যবসায়ীদের দাবি সরকারি কর্মচারীরা কিছু না করেই হাজার হাজার টাকা বেতন পাচ্ছে। কিন্তু সামান্য ব্যবসা করে খাওয়া মানুষদের দুর্দিনের শেষ নেই। একই করোনা মহামারী তার উপরে আবার ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ। এইভাবে চলতে থাকলে অনাহারে মৃত্যু হবে তাদের। বালুরঘাট থানার পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায়ই এসে দোকান বন্ধ করতে বলা হয় এবং তাদের দোকান বন্ধ করতে হয়। তাই দোকান খুলতে না খুলতেই দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই হচ্ছে না। তাদের দাবি এক থেকে দুই ঘন্টা মাত্র দোকান খোলা রাখলে সংসার চালানোর মতো আয় হয় না। সকাল 7 টা থেকে 10 টা পর্যন্ত দোকান খোলা রেখে ঠিকমতো ব্যবসা হচ্ছে না। তাই ব্যবসায়ীদের স্বার্থে, সকাল 10 টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত যাতে দোকান খোলার ব্যবস্থা করে সরকার।