গ্রামবাসীদের উদ্যোগ ও আর্থিক সাহায্য তৈরি হলো উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
1 min read
আজকের বার্তা, বালুরঘাট, ৯ ডিসেম্বর ঃ- এ এক অন্য গল্প, যেখানে সরকারি সাহায্য ছাড়াই গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন একটি আস্ত উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সরকারি সাহায্য একবারে পাওয়া যায়নি তা নয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে মাত্র কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘর তৈরি করার জন্য। সোমবার বালুরঘাট ব্লকের বড়কাশিপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্থায়ী ঘরের উদ্বোধন হল। উদ্বোধন করেন বিএমওএইচ ডঃ অর্পন সরকার উপস্থিত ছিলেন বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌসুমী রায়, সদস্য অনুকূল দাস প্রমুখ।
জানাগেছে, বালুরঘাট ব্লকে বড়কাশিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এতদিন খাসপুর এলাকার একটি ভাঙ্গাবাড়ীর বারান্দায় চলত। যেখানে কোন পরিকাঠামোয় ছিলনা। সাধারণ পরিষেবা তো দূরে থাক খাতাপত্র নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হতো স্বাস্থ্য কর্মীদের। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে চলছিল উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এরপর স্থানীয় মানুষরা সিদ্ধান্ত নেয় সরকারি খাস জমিতে তৈরি করা হবে একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘর। বড়কাশিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে নয়টা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার. ৫১৪ জন মানুষ পরিষেবা নেন। এবং এই এলাকার দোগাছি, মোহনপুর, লক্ষীনারায়নপুর, গোবিন্দপুর, কাঞ্জালসি ও ব্রহ্মপুর সমস্ত গ্রামগুলি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েতের অংশ থেকে কুড়ি হাজার টাকা দিয়েছেন এছাড়াও বিশ্বজিৎ দাস নামে এক জন গ্রামবাসী তিনি দিয়েছেন ১৫ হাজার টাকা আর বাকি টাকা দিয়েছেন এলাকাবাসী তাদের স্বেচ্ছাশ্রম এবং নগদ অর্থের বিনিময়। নতুন এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে স্থানীয় মানুষদের আনাগোনা এবং চিকিৎসা পরিষেবার কাজ। খুশি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা।
বড়কাশিপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী স্বপ্না মল্লিক বলেন, এতদিন আমাদের কাজের সমস্যা হতো। ঝড়-বৃষ্টিতে মা বাচ্চাদের পরিষেবা দেওয়া তো দূরের কথা, তাদের বসা বা দাঁড়াবার জায়গা থাকতো না। এই ঘর তৈরি হওয়ায় আমরা খুশি সঠিকভাবে পরিষেবা দিতে পারব।
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অনুকূল দাস জানান, এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল। এতদিন ভাঙা একটি ঘরে চলেছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখান থেকে পুনর্জীবিত করতেই বোয়ালদার পঞ্চায়েত থেকে সাহায্য দেয়া হয়েছে। গ্রামবাসীরাও তাদের সাধ্যমত আর্থিক সাহায্য করেছে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গড়তে।