পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হবে দীর্ঘ ২২ বছর বাদে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিয়ে আশাবাদী সিপিএম
1 min readআজকেরবার্তা, শিলিগুড়ি, ৯ জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়েছে ইতিমধ্যে। গতকালই দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি এবার ভোট হবে পাহাড়েও। ভোট হবে দীর্ঘ ২২ বছর বাদে। পাহাড়ে শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। তারপর আর পঞ্চায়েত ভোটের ঢাকে কাঠি পড়েনি। অবশেষে এবার ভোট হতে চলেছে পাহাড়ে। তবে ত্রিপাক্ষিক নয়, দ্বিপাক্ষিক।
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই তোরজোড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির। প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে মড়িয়া সব দল। একাধিক রাজনৈতিক দলগুলির তরফে শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখন প্রক্রিয়া। পিছিয়ে নেই সিপিএমও। শুক্রবার শিলিগুড়ির দলীয় কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে সিপিএম নেতৃত্বরা জানান, ১২ তারিখের মধ্যে বেশীরভাগ মনোনয়ন জমা করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে৷
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শাসকদলকে একহাত নিয়ে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের অপ্রস্তুত করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। নিজেদের সুবিধা মতোন।’ তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে সিপিএম যে প্রস্তুত রয়েছে সেকথাও স্পষ্ট করেছেন তিনি। তার কথায়, ‘সীমিত ক্ষমতার মধ্যেই এককভাবে প্রার্থী দেওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোটের পথেও হাঁটবে সিপিএম। এনিয়ে পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বোঝাপড়ার বিষয়ে জোর দিতে চলেছে দল।’
এদিনের বৈঠকে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জীবেশ সরকার জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে নির্বাচনে কোনও কাজে যাতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার না করা হয়। পাশাপাশি ভোটলুঠ কিংবা কোনও প্রকার বিশৃঙ্খলা হলে সাধারণ মানুষই তার প্রতিরোধ করবেন বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে, অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ২০১৮ সাল এবং ২০২৩ সাল এক নয়। পাশাপাশি তার দাবি, তৃণমূল বর্তমান সময়ে অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে। উল্টোদিকে দল অনেকটাই শক্তি সঞ্চার করেছে। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী অশোক, জীবেশ।