রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহাশন বলে কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ৮জুলাই: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহাশন বলে কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতির। রাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠান পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক মন্তব্য করে শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিন দিনাজপুর জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
রাজ্যজুড়ে হওয়া একাধিক প্রানহানির প্রতি সহানুভূতি জানায় বিজেপি বলে জানান তিনি। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের ঘটনার খবর নিয়েছেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদে অতিসত্তর আদালতে মামলা ঋজু করবেন বলেও জানান সুকান্ত মজুমদার।
সারা দিন ব্যাপী সারা পশ্চিম বঙ্গ জুরে প্রায় এক চিত্র নজরে এসেছে। বহু নির্বাচন কেন্দ্রে লম্বা লাইন এখনো রয়েছে ভোটারদের। এই সমস্ত ভোট দানের লাইনে আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার।
এদিন জন সমক্ষে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে সারা বাংলায় রক্ত গঙ্গা বয়ে গিয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। বাংলার মানুষকে আরো একবার কলঙ্কিত করলো তৃণমূল কংগ্রেসের বলে দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার।
নির্বাচনের নামে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার ও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের নামে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করেছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন বাংলার অধ্যায়ে কালো দাগ হয়ে থাকবে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়া থেকে রাজ্যে প্রাণহানি হতে শুরু করেছে। বেলা বারার সাথে সাথে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট হচ্ছে না গৃহ যুদ্ধ হচ্ছে বলে কটক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ডাঃ সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রমুখ বাংলার মানুষকে নিরাশ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত ভোটের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হওয়ার প্রসঙ্গে বলেন ‘কে কা কে কখন গুলি করবে এই গ্যারান্টি কাউ দিতে পারবেনা’ এই মন্তব্যর মধ্য দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সারা রাজ্যবাসিকে নিরাশ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। এই উক্তির কারণে সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে মেরুদন্ডহীন বলে কটাক্ষ করে। রাজ্যের আধিকারিক ইতিহাসে এমন নিতি আদর্শ বিহিন কেউ কখনো ছিলেননা বলে দাবি করেন তিনি।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করে জানান, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশেষ ক্যামোফ্লেজ অর্দি পরিয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে ভোট পরিচালনা করা হয়। কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ভোটের কাছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিযুক্ত করা যাবেনা বলে নিয়ম জারি করেছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করেন, রাজ্যে জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাস ছড়িয়ে শাসক দল। যেখানে বৃদ্ধ থেকে মহিলা কেউ বাদ পরেনি বলে জানান তিনি। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দেনিয় ও লজ্জাজনক বলে জানান তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন সন্ত্রুর অভিযোগে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও তার ভাইপোকে রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
এই নির্বাচন সম্পূর্ণ ভূয়ো বলে দাবী করেন সুকান্ত মজুমদার। ভোট লুট করে জন প্রতিনিধি তৈরী করছে শাসক দলে বলে দাবি করেন তিনি। নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে মানা হয়নি, জেলা প্রশাসন নয় নির্বাচন কমিশনই দায়ী পিছনে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি নির্বাচন কমিশন বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের প্রমুখ তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সমস্ত কিছু বন্ধ করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। নির্বাচন কমিশনের কে তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা সংগঠন বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।