বালুরঘাটে দন্ডি কাণ্ডে অবশেষে পুলিশের কাছে হাজিরা দিলেন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী।
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ৮ মে: আদিবাসী তিন মহি লাকে রাস্তায় দন্ডি কাণ্ডের ঘটনায় অবশেষে পুলিশের কাছে হাজিরা দিলেন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। সোমবার বালুরঘাট সাইবার ক্রাইম থানায় লুকিয়ে হাজিরা দিলেন মহিলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরের রাস্তায় দণ্ডী কাটিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের যোগদান করানো হয় তিন আদিবাসী মহিলাকে বলে অভিযোগ বিজেপির। রাস্তায় আদিবাসী মহিলাদেরকে দণ্ডী কাটানো বা নাক ক্ষত দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজনৈতিক মহল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদিবাসী মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে একাধিক মহলে। ঘটনায় একাধিক আন্দোলন শুরু হয় সারা রাজ্য জুড়ে। আদিবাসী যৌথ মঞ্চ থেকে শুরু করে বিজেপি, বামফ্রন্ট কেউ বাদ যায়নি। আদিবাসী মহিলাদের রাস্তায় দণ্ডী কাটানোর ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দলীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
গত ২ মে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আদিবাসী তিন মহিলার সাথে দেখা করে ঘোষণা করেছিলেন যে দন্ডি কাণ্ডে যতবড়ই নেতানেত্রী জড়িত থাকুক না কেন তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় ও প্রশাসনিক গত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঐদিন রাতেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড এর ঘোষণার পরদিন ৩ মে দন্ডি মামলায় প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সাত দিনের মধ্যে হাজিরার নোটিশ পাঠায় পুলিশ।
দন্ডি কান্ডে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে তলব করার পর, এদিন পুলিশের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আজ সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে বালুরঘাটে সাইবার ক্রাইম থানায় সকাল ১০:৩৫ নাগাদ হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আধঘন্টা তাকে জিঞ্জাসাবাদ করে ডিএসপি পদমর্যতার এক পুলিশ আধিকারিক।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানান, তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না।
বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, দন্ডি কান্ডের মতো অমানবিক ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিজেপি সহ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন আন্দোলনে নেমেছিল। এদিন অভিযুক্ত কে শুধু জিঞ্জাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার গ্রেফতারের দাবিতে আগামীতে বিজেপি আবার আন্দোলনে নামবে বলে জানান তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কোওর্ডিনেটর সুভাষ চাকী জানান, আইন আইনের পথে চলবে। তার বিরুদ্ধে দলগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা আইনি প্রক্রিয়ায় চলছে।