রাজ্যজুড়ে ঘটে চলা একাধিক বিষয় নিয়ে বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলনে করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ডাঃ সুকান্ত মজুমদার।
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ৭ সেপ্টেম্বরঃ পার্থ চ্যাটার্জীরা যেখানে আছেন সেখানেই বোধহয় খুব শিঘ্রি দেখা হয়ে যাবে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের। আজ কলকাতা থেকে বালুরঘাটে এসে রাজ্যের আইনমন্ত্রীর বাসভবন সহ চার জায়গায় সিবি আই এর হানা প্রসংগে এই মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার আরো দাবি এর আগে তাকে দিল্লিতে তলব করা নিয়ে তারা এর আগেও কয়েকবার মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জেনেছি। আসানসোলে কয়লা পাচার হয়ে থাকে এটা রাজ্য বাসির জানা, সুতরাং আজ সেখানে ও মন্ত্রীর বাড়িতে সি বি আই হানা দিয়ে নিশ্চই এ সংক্রান্ত গুরুত্বপুর্ন নথী হাতে পাবে।আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই জেলে গিয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রীর সাথে তার পুরনো সহকর্মি পার্থ চ্যাটার্জীদের সাথে দেখা হবে, বলে সংবাদ মধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সি বি আই হানা প্রসংগে মন্তব্য করেন।
এর পাশাপাশি গতকাল বাগুইহাটি কান্ড নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সরাসরি পুলিশ মন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাড় করান। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং পুলিশ মন্ত্রী, তার অদক্ষতায় আজ অকালে দুটি প্রান চলে গেল। কেননা পুলিশ কোনরুপ তদন্ত তো করেই নি উলটে পরিবারটিকে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে বারন করে দিয়েছিল। তার প্রশ্ন কিন্তু কেন পুলিশ এমন করেছিল তার কৈফিয়ত পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে। তার আরো বক্তব্য এমন নয় যে পরিবারটি বিজেপি বা অন্য কোন পার্টি করে, তারা বরং তৃনমুল করেন। তারা তাদের ছেলেদের বাচাতে পুলিশ, স্থানিও তৃনমুল নেতৃত্ব থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পাত্তা না দেওয়ায় আজ অকালে দুটি জলজ্যান্ত ছেলের প্রান চলে গেল, পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর নিষ্ক্রিয়তার জন্য। তিনি আরো বলেন গতকাল দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার খবর পেয়ে তিনি শোকগ্রস্থ পরিবারের সাথে দেখা করতে গেলে স্থানিও তৃনমুল কাউন্সিলরের দলবল ও অভিষেক ব্যানার্জীর গুন্ডাবাহিনী তাকে দেখা করতে দেয় নি।অথচ পরিবারের লোকজন তার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করে বলেন রাজ্যে এই সবের জন্য দায়ি তৃনমুল নেত্রী। তার অদক্ষতার জন্য পুলিশের আজ এই হাল এসে দাড়িয়েছে, বলে জানান।
অন্য দিকে অতি সম্প্রতি দীলিপ ঘোষ ও অনান্য বিজেপি নেতৃত্ব ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে এই সরকার পরে যাবে বলে যে মন্তব্য করেছেন সে প্রসংগে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, দুর্নীতির দায়ে পার্থ চ্যাটাজী জেলে, মলয় ঘটক ও যদি জেলে যান এমনকি রাজ্যের অনান্য দুর্নীতির দায়ে একে একে অন্য সব মন্ত্রীরা এমনকি যদি খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেও জেলে যেতে হয়। তাহলে তো তাদের জেলে বসেই মন্ত্রীসভার বৈঠক করতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে এসব পরম্পরা ঘটনা সামনে আসার পর অনুমানের ভিত্তিতেই আমরা ভেবে নিতে পারি ডিসেম্বরের মধ্যেই এই সরকার পড়ে যেতে পারে। সেই অনুযায়ী আমরা আমাদের কথা বলছি, বলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি জানান।