বালুরঘাটে বৈদ্যুতিক শক খেয়ে মৃত্যু হলো এক ছাত্রের। ছাগলের খাবার জন্য পাতা পাড়তে নাকি দোকানে চুরি করতে বৈদ্যুতিক শক তদন্তে পুলিশ।
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ৭ আগস্ট :- ছাগলের খাবারের পাতা আনিতে গিয়ে এক দোকানের টিনে হাত দেওয়ায় বৈদ্যুতিক শকে মৃত্যু এক পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের। মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য বালুরঘাট থানার বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্লভপুর গ্রামে। এদিকে এই মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার এক দোকানদারের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মৃত ছাত্রের নাম প্রীতম প্রামানিক। বয়স ১২ বছর। সে বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।পিতা প্রদীপ প্রামানিক পেশায় কৃষক। ৪ নং বোয়ালদাড় অঞ্চলের দুর্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই বালক। এদিন সকাল ৯ টা নাগাদ বাড়ির পোষা ছাগলের খাবারের জন্য ছাত্রটি কাঁঠাল পাতা পাড়তে যায়। এরপর এলাকার এক দোকানের পাশ দিয়ে টয়লেট করতে যায় এবং সেই সময় সেখানেই দোকানের বৈদ্যুতিক সংযোগ টিনের দেওয়ালের সংস্পর্শে এলে বৈদ্যুতিক শকে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ওই দোকানদারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার স্থানীয় দোকানদার দিবাকর মহন্তের দোকানের টিনে বৈদ্যুতিক সংযোগ ছিল। তার সংস্পর্শে এসেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের।
যদিও কাঠাল পাতা পাড়তে গিয়ে দোকানের ভেতর সে কেন গেছিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? দোকানদার দিবাকর মহন্ত জানান, এদিন সে সকালে দোকান খুলে জিনিস সরাতে গিয়ে দেখে নিচের দিকে কিছু একটা পড়ে রয়েছে। এর পরে ভালো করে লক্ষ্য করলেই দেখতে পায় ছাত্রটি অর্ধেক শরীর তার দোকানে ভেতরে ঢোকা। সাথে সাথে খবর দেয় এলাকার সিভিক পুলিশকে। তবে তার দোকানের টিনে কিভাবে ইলেকট্রিক লাগলো তা সঠিক জানতে পারেনি দিবাকর।
এরপরে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনায় বালুরঘাট থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।