উত্তপ্ত পরিস্থিতি বালুরঘাটের এ কে গোপালন কলনি এলাকায়। অপহারিত বাচ্চার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অগ্নিকাণ্ড বালুরঘাটে
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ৬ নভেম্বরঃ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বালুরঘাটের এ কে গোপালন কলনি এলাকায়। রাত ভর নিখোঁজ থাকার পর বস্তা বন্ধ অবস্থায় উদ্ধার হলো অপহারিত বাচ্চার মৃতদেহ। বাড়ির পাসে খাড়িতে বস্তা বন্ধ অবস্থায় উদ্ধার হলো দীপ হালদার নামক আঠ বছরের শিশুর মৃতদেহ। বালুরঘাট শহরের পায়েল ব্রিজের পাসে খাড়িতে পুতে ফেলা হয়েছিল অপহারিত বাচ্চার মৃতদেহ। পারিবারিক বিদ্যেশের জেরেই এই ঘটনা। ঘটনার পর বালুরঘাট ব্লকের রাজুয়া থেকে অপরাধী দের উদ্ধার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
ঘটনার খবর চড়াও হতেই উত্তেজিত এলাকাবাসী ভাংচুর চলায় অপরাধীর বাড়িতে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় অপরাধীর বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্রে। উত্তেজিত জনতা ক্ষোভে ফেটে পরে। তাদের দাবি উপযুক্ত শাস্তি ও ফাঁস্যার দাবি জানিয়েছে একালাবাসি।
ঘটনার পর থেকে কান্নায় ভেঙ্গে পরে খুন হওয়া শিশু বাচ্চাটির পরিবার।
প্রসঙ্গত, ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে আট বছরের শিশুকে অপহরণের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট পৌরসভা এলাকার এ কে গোপালন কলোনি এলাকায়। বাড়ি থেকে ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়ায় পরেও শিশুটি বাড়ি না ফেরায় অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে যায় শিশুটির ঠাকুমা। কিন্তু অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় শিশুটি তাদের বাড়িতে আসেনি।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ দীপ হালদার নামের আট বছরের এই শিশু। শনিবার বিকেলে প্রতিবেশী এক যুবক ঘুড়ি কিনে দেয় এবং সেটা নিয়ে খেলতে যায় পাশের একটি মাঠে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত্রি নামলেও বাড়ি ফেরেনি আট বছরের দীপ হালদার এর পরই খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার আত্মীয়-স্বজনরা। কিন্তু তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে শনিবার রাতের এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক মানস সিংহের বাড়ির লোকজন পলাতক, জনশূন্য হয়ে রয়েছে বাড়ি। রাত নয়টা নাগাদ নিখোঁজ দীপ হালদারের খোঁজে যখন তার পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে যায়, তখন তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় নিখোঁজ দীপ হালদার তাদের বাড়িতে নেই। কিন্তু ঘটনার ঠিক কিছু ঘন্টার মাথায় এলাকায় থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফূটেজ থেকে উঠে আসে একেবারে অন্য চিত্র। সিসিটিভি ক্যামেরার ফূটেজে উঠে আসে অভিযুক্ত মানস সিংহের বোন রাতে বাচ্চাটিকে সাথে করে নিয়ে নিজেদের বাড়ির দিকে চলে যাচ্ছে। আর তার ঠিক পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত পরবারের সকল সদস্য।
ঘটনার কিছু ঘন্টা পার হতে না হতেই বস্তাবন্দী অবস্থায় এলাকার এক খাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অপহারীত শিশুর মৃতদেহ। ঘটনার খবর চড়াও হতেই উত্তেজিত এলাকাবাসী ভাংচুর চলায় অপরাধীর বাড়িতে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় অপরাধীর বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্রে। উত্তেজিত জনতা ক্ষোভে ফেটে পরে। তাদের দাবি উপযুক্ত শাস্তি ও ফাঁস্যার দাবি জানিয়েছে একালাবাসি।