পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহল।
1 min readআজকেরবার্তা, তপন, ৬ জুলাই: দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন এমতাবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের দ্বীপখন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দাঁড়ালহাট এলাকায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
দাঁড়ালহাটের বাসিন্দা সমীর বর্মন নামক এক ওষুধ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে খুন করে হত্যা করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। ঘটনা কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান তোর সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে।
ঔষধ ব্যবসায়ী সমীর বর্মন তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মৃণাল সরকার। ঘটনায় অভিযোগের তীর বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ করতে বিজেপি এই কাজ করেছে। সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ভয় দেখিয়ে, মেরে আবার কোথাও খুন করে রাজনৈতি করছে বিজেপি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শান্তিপূর্ণ জেলা, এই জেলায় নির্বাচনের আগে খুন করে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিজেপি বলে অভিযোগ করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মৃণাল সরকার।
অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ডক্টর সুকান্ত মজুমদার। তিনি দাবি করেন বিজেপি কাউকে খুন করতে যায়নি। যে ব্যক্তি খুন হয়েছে তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই বলেই দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেন অন্য কোন বিষয়ে হওয়া খুনে রাজনৈতিক রং চরাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি এই ঘটনার সাথে কোনভাবেই যুক্ত নয়। এই খুনের ঘটনা সঠিক পুলিশি তদন্তর দাবি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডক্টর সুকান্ত মজুমদার।
অপরদিকে মৃত সমীর বর্মনের প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন জানান, মৃত সমীর বর্মনকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু এই খুনের ঘটনা রাজনৈতিক খুন কি না সে কথা তারা বলেননি। কিন্তু মৃত ব্যক্তি তৃণমূল সমর্থক ছিলেন বলে জানান মৃত সমীর বর্মনের প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন।
খুনের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তপন থানার পুলিশ। তপন থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে জেলা হাসপাতালে পুলিশ মর্গে পাঠায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তপন থানার পুলিশ। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে খুন ও খুনের ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় এই খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে তৎপর পুলিশ প্রশাসন।