২বছর পর করোনার রেশ কাটিয়ে পুরনো ছন্দে ফিরছেন মা বোল্লা কালির পূজা ও মেলা
1 min readআজকেরবার্তা, বালুরঘাট, ৫নভেম্বরঃ দু বছর পর করোনার অতিমারি কাটিয়ে প্রত্যেক বছরের মত এবার রাস পুর্নিমার পরের শুক্রবার হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বোল্লা রক্ষা কালী মাতার পুজো। পুজোতে বিগত দুবছর প্রায় অতিমারীর নিষেধাজ্ঞায় ভক্তসমাগম যেমন সে ভাবে হয়নি। তেমনি মেলা ও সে ভাবে বসে নি। তাই এবার করোনার অতিমারির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ব্যাপক ভক্ত সমাগমের ভীড়ে জমজমাট হয়ে উঠবে এই আশা করছে বোল্লা মায়ের পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা।
এদিকে বোল্লা মেলার এই ভক্তসমাগমের দিকে তাকিয়েই বসে থাকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেলায় আসা খাজা বাতাসার দোকানী ও অনান্য সামগ্রীর পসারিরা। তারা সারা বছর নিজ নিজ এলাকায় ব্যবসার পাশাপাশি একটু বাড়তি আয়ের পথ সঞ্চার করতেই এই মেলার দিকে তাকিয়ে থাকে সারাবছর। কিন্তু বিগত দুই বছর মেলা না বসায় ও নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা কেউ নিজেদের ব্যবস্যায়ীক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বসতে পারেন নি। ফলে বিগত দুই বছর তারা বেশ কিছুটা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার তাদের আশা এবারের মেলাতে তারা সেই আর্থিক লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিলেও নিতে পারবেন।কেননা এবার মেলা বা ভক্তসমাগমে কোন নিশেধাজ্ঞা না থাকার কারনে।
সেদিকে তাকিয়েই ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বাইরের জেলা থেকে ইতিমধ্যেই তাদের খাজা বাতাসা তৈরি করবার যাবতীয় সামগ্রী নিয়ে মেলা প্রাংগনে অস্থায়ী তাবু ফেলেছে। মালদা থেকে এসেছেন নেপাল দাস, তার দাবি তিনি তার কারিগর ও লোকজন নিয়ে ভাইফোটার পরের দিন এসে মায়ের মেলা প্রাংগনে খাজা বাতাসা তৈরীর ব্যাপারে হাত লাগিয়েছেন। যাতে পুজোর দিন থেকে ভক্তরা এলে তাদের চাহিদা মত ভোগের খাজা বাতাসা নকুলদানা এসব তুলে দিতে পারেন অনায়াসে। তিনি আরো জানান বিগত দুই বছর করোনা জন্য মেলা না হওয়ায় তারা যেমন আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তেমনি এই মেলায় দোকান চালোনর জন্য কর্মচারী ও কারখানার কর্মচারীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। কেননা আমরা নিজ নিজ এলাকায় সারাবছর যা বিক্রি বাট্টা করি তাতে সংসার ও কর্মীদের পেট চললেও বাড়তি আর্থিক সঞ্চয় করতে পারিনা, যা এই মেলা করলে আমরা বাড়তি আর্থিক লাভবান হই।তা দিয়ে আমরা বা কর্মীরা তাদের নিজস্ব কিছু সঞ্চয় করে উঠতে পারি। বিগত দু বছর মেলা বন্ধ থাকায় তা আমরা করে উঠতে না পারলেও এবার আশা রাখছি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব।আগের বছর গুলো যেখানে ২৬ ও ৩০ থেকে ৪০ কুইন্টাল বিক্রি করতাম এবার আশা করছি তা ২৫০ কুইন্টালের মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি জানান।