খেলার ছলে না কি অন্য কোন কারণে আত্মহত্যা তা নিয়ে অবশ্য দানা বেঁধেছে নানান ধোঁয়াশা।
1 min read
আজকেরবার্তা, কুশমন্ডি, ৩নভেম্বর :- খেলার ছলে না কি অন্য কোন কারণে আত্মহত্যা তা নিয়ে অবশ্য দানা বেঁধেছে নানান ধোঁয়াশা। মাত্র ১১ বছরের কিশোরীর আচমকা মৃত্যুকে ঘিরে উঠছে নানান প্রশ্ন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের ৩নং উদয়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের অধীন চাদপুর এলাকার বাসিন্দা নিবেদিতা বর্মণ খেলার ছলে আত্মঘাতী হয় শনিবার সন্ধ্যায়। ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় কুশমন্ডি থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। রবিবার সকালে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পাশাপাশি আচমকা নাবালিকার আত্মহত্যার কারণ নিয়ে তদন্তে নেমেছে কুশমন্ডি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মৃতার বাবা সুরেস বর্মণ পেশায় ভিন জেলায় রিক্সা চালক। বাড়িতে থাকে মা ও তিন ছেলে মেয়ে। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরের পেয়ারা গাছের সাথে কাপরের দোলনা ঝুলিয়ে খেলছিল নাবালিকা। হঠাৎ সেই গাছের সাথেই কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই কিশোরী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। বিকেলে মৃতার মা ও দিদি মাঠে যায় কাজে তখন খবর পায় যে তার মেয়ে পেয়ারা গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় কুশমন্ডি থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। রবিবার সকালে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে মৃতা নাবালিকার মা জানান, বাড়িতে খেলছিল দেখে আমি ও আমার আর এক মেয়ে মাঠে ধান কাটতে যায় তখন এ খবর আসে আমার মেয়ে পেয়ারা গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ও মৃতার কাকা জানান, নিবেদিতার মা আমাকে ও কে দেখতে বলে মাঠে যায় ধান কাটতে। হঠাৎ দেখি ও পেয়ারা গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নাবালিকার আত্মহত্যার পর অবশ্য গ্রামবাসীদের উদ্যোগে কেটে দেওয়া হয় পেয়ারা গাছ টি। ঘটনার পর থেকে চাপা উত্তেজনা ও ভিতি দেখা দিয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। খেলার ছলে আচমকা না কি, গোপন কোন কারণে আত্যহত্যা করেছে মাত্র ১১ বছরের ওই নাবালিকা তা নিয়ে ধন্দে এলাকাবাসী থেকে পুলিশ।