ভোট পার হয়ে গেলেও ফেরেনি এলাকার অবস্থা অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
1 min readআজকেরবার্তা, গঙ্গারামপুর, ২ ডিসেম্বরঃ পাচ বছর আগে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে একরাশ আশা নিয়ে যাদের পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতার আসনে বসিয়ে ছিলেন।পাচ বছর পর ফের বছর ঘুরলেই ভোট আসার আগে এলাকার মানুষের আশা অনেকটা মোহভংগ হয়েছে গংগারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত ৪ নম্বর নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকার পানীয় জল থেকে রাস্তা ঘাটের কোন উন্নয়ন এলাকায় সে ভাবে হয়নি বলে স্থানিও বাসিন্দাদের অভিযোগ। রাস্তার হাল যা ছিল তাই রয়েছে, বেশির ভাগ রাস্তার পিচ উঠে খানা খন্দে ভরা, বর্ষাকাল তো দুরের কথা এমনি সময়েই এই সব রাস্তা দিয়ে চলা ফেরা করাই দায়। অসুস্থ কাউকে গংগারামপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়াই দায়। এম্ব্যুলেন্স ও এই জন্য কখনও কখনও গ্রাম গুলিতে ঢুকতে চায় না।
এতো গেল রাস্তা বেহাল এর কথা।এর পাশাপাশি পানীয় জলের যে সমস্যা ছিল, আজও এই একুবিংশ শতাব্দিতেও গ্রাম থেকে পানীয় জল আনতে গ্রামের বাইরে যেতে হয়। যে কয়েকটি নলকুপ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বসানো হয়েছে তার অর্ধেক অধিকাংশ সময়ে খারাপ থাকে যে কলগুলির মুখ থেকে জল বেড়য় না , বলে স্থানিওদের অভিযোগ।এর পাশাপাশি রয়েছে সরকারি বিভিন্ন জোজনার সুযোগ সুবিধে পাওয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তো লেগেই রয়েছে। এনিয়ে কম অশান্তিও হয় না মাঝে মাঝে গ্রাম গুলিতে।
যদিও নন্দনপুর গ্রাম সমিতির প্রধান নুর নেহার বিবি জানান ইচ্ছে তো অনেক ছিল কিন্তু অর্থের বরাদ্দ সে ভাবে না পাওয়ায় সে সব করে ওঠা সব সময় সম্ভব হয় না। তবে তিনি রাস্তা ঘাট উন্নয়ন নিয়ে স্থানিওদের অভিযোগ মানতে চান নি।তিনি বলেন আমরা যখন কাজ করি তখন না আসলে তা দেখতে পাবেন কি করে? কেননা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চললে তো রাস্তার হাল খারাপ হবেই। তবে কিছু জায়গায় জমি নিয়ে সমস্যা থাকায় রাস্তা নির্মান করা সম্ভব হয়নি, সেকথা নিজেই স্বিকার করে নেন তিনি। পাশাপাশি তার দাবি অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এলাকার জলের নলকুপ গুলো সারানো যায় নি। চেষ্টা করছি তা নিজেদের সামঅর্থ্যে সারিয়ে তুলে পরিষেবা দেবার চেষ্টা করেছি।
Bjp র জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন,তৃনমুল পরিচালিত পঞ্চায়েত এ ভোট হতেই দেয়না,তারা গায়ের জড়ে যেতে। তবে এবার বিজেপি পঞ্চায়েতে জিতলে কেন্দ্রীয় সরকারের সব প্রকল্প এলাকায় দেওয়া হবে।এবারের নির্বাচনে ১০০শতাংশ আশাবাদী মানুষ বিজেপি কে নন্দনপুর পঞ্চায়েতে বসাবে।।