Sun. Oct 1st, 2023

ফঁড়েদের দাপটে বঞ্চিত কৃষকরা,অত্যাধিক পরিমাণে ধলতা নেওয়ার অভিযোগ,বিক্ষোভ খরবায়

1 min read

 

 

আজকেরবার্তা, মালদা, ২জানুয়ারিঃ ফঁড়েদের দাপটে ধান বিক্রি করতে পারছেনা প্রকৃত কৃষকরা। এমনকি সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রতি কুইন্টাল ৭ কেজি ধান ধলতা নেওয়া অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আবেদন অনুসারে সঠিক পরিমাণ সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি থেকে বঞ্চিত থাকছে কৃষকরা।যার কারনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন বঞ্চিত কৃষকরা।সোমবার দুপুরের ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের খরবা এলাকায়।শ্রীপতিপুর সমবায় সমিতির তত্ত্বাবধানে খরবায় ধান কেনা হচ্ছে।সেখানেই বিক্ষোভের ঘটনাটি ঘটেছে।অনেকেই বাধ্য হয়ে ধান বাড়িতে ঘুরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।সরকারি নয়,খোলা বাজারে ধান বিক্রি করে লাভবান হওয়া যাবে দাবি কৃষকদের।নানারকম অজুহাত দেখিয়ে সহায়ক কেন্দ্রে ধলতা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।সরকারি খাতে ধান বিক্রি করতে এসে শীতকালে কালঘাম ছুটছে চাষিদের।প্রসঙ্গত,প্রান্তিক কৃষকদের কথা মাথায় রেখে ও ধানচাষে উৎসাহ জোগাতে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে রাজ্য সরকার।নূন্যতম প্রতি কুইন্টাল ধানে ২০৪০ টাকা দিচ্ছে সরকার।এছাড়াও কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ২০ টাকা উৎসাহ মূল্যও দেওয়া হচ্ছে।কিন্তু সেই সমস্ত সুবিধার নাগাল পাচ্ছে না কৃষকরা।২০ কিমি পথ অতিক্রম করে বিপুল অর্থ দিয়ে গাড়ি ভাড়া ক্রয় কেন্দ্রে এসে বিপাকে পড়ছেন তারা।অনেকে ধান বিক্রি করতে না পেরে বাড়িমুখী হচ্ছেন।এদিকে অনলাইনে ১৫ কুইন্টাল ধান বিক্রির আবেদন করলেও সেই পরিমাণ ধান নিচ্ছেন না সমবায় সমিতি।তারা মাথা পিছু ৭ কুইন্টাল ধান ক্রয় করবে বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন।সঠিক পরিমাণে ধান বিক্রির দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন বঞ্চিত কৃষকরা। এক কাতলামারীর এক কৃষক আফজল হোসেনের অভিযোগ,আমাদের ধান নিতে ইচ্ছুক নই।মাত্র ৭ কুইন্টাল ধান নিবে বলা হচ্ছে।এদিকে চুপচাপ ফড়েঁদের থেকে অত্যাধিক পরিমাণ ধান ক্রয় করছে।মরছি আমরা।

বাঘাপাড়ার কৃষক সাহিদ হোসেন জানান,চড়া ভাড়ায় ধান নিয়ে এসছি ১৫ কুইন্টাল।কিন্তু এখানে বলা হচ্ছে ৭ কুইন্টাল নেওয়া হবে।বাকি ধান গুলো আবার ভাড়া করে বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে।সরকারি খাতে ধান বিক্রি করলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে।খোলা বাজারে ধান বিক্রি করা ভালো।মূলাইবাড়ীর কৃষক আব্দুল রহিমে কথায় শোনা গেল,প্রতি কুইন্টালে ৭ কেজি ধলতা নেওয়া হচ্ছে।যা সরকারি নিয়মের বাইরে।কৃষকদের মেরে মুনাফা লুটছে। যদিও শ্রীপতিপুর সমবায় সমিতির ম্যানেজার রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন,উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ যে পরিমাণে ধান নেওয়া কথা বলেছে,সেই পরিমাণ কেনা হচ্ছে।ধলতা নেওয়ার বিষয়ে মিল মালিক জানে। যদিও কৃষকদের সমস্যার সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন।তিনি বলেন,এমনটা হওয়ার কথা নয়।

 

 

You may have missed

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.