ছট পূজা উপলক্ষে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে নদীর ঘাট ও পুকুরগুলির ঘাট সংস্কার করা হয়।
1 min read
আজকের বার্তা; কালিয়াগঞ্জ, ১ নভেম্বর: বাঙালীর বারো মাসে তেরোই পার্বন লেগেই থাকে। এখন পুজোর মরশুম। তাই গোটা দেশ জুড়েই চলছে নানা রকম উৎসব। উৎসব শুরু হলে উৎসব থেমে থাকে না। ভারতে সব ধর্মের উৎসবকেই সমান প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। তাই সেই মানসিকতাকে বজায় রেখেই সব ধর্মের মানুষ ছট পূজায় মেতে ওঠে। যদিও এই পূজা আগে শুধুমাত্র হিন্দিভার্ষী মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষই এই পূজায় অংশগ্রহণ করে।
লোককথা অনুসারে, ছট মা খুবই জাগ্রত। তাই ছট পূজা এখন বড় একটি উৎসবে পরিনত হয়েছে। ব্রতচারীরা ৩৬ ঘন্টা নির্জলা উপবাস থেকে ছট পূজা করে থাকেন।
জানা গেছে, আগামী শনিবার অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য প্রদান করে এবং রবিবার ভোরে উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্যপ্রদানের মাধ্যমে পূজা শেষ করে ভক্তরা। সেই মতাবেক সারা রাজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্গত শ্রীমতি নদী ও বিভিন্ন পুকুর ঘাটে ছট পূজা হয়ে থাকে। ব্রতচারীদের যাতে কোনোরকম সমস্যা না হয় সেই কারনে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে নদীর ঘাট ও পুকুরগুলির ঘাট সংস্কার করা হয়। ছিটিয়ে দেওয়া হয় ব্লিচং পাউডার। এছাড়াও রাখা হয় বালির বস্তা। তার পাশাপাশি ব্রতচারীরা গভীর জলে যাতে না যায় সেই কারনে শাড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় নদীতে।
এবিষয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পুরপ্রধান কার্তিক পাল জানান, আজ বাদে কাল ছট পূজা হওয়ায় শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। তাই বিভিন্ন নদীর ঘাট ও পুকুরগুলিকে সংস্কার করা হয়। ব্রতচারীরা যাতে গভীর জলে না যায় সেই কারনে ব্যারিকেড দেওয়াও হয় নদীতে। এছাড়াও যাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন করা হয় নদীর ঘাটগুলিতে।